নামাজ এর সকল প্রয়োজনীয় দোয়া
আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে নামাজ এর সকল প্রয়োজনীয় দোয়া সম্পর্কে জানতে পারব, যেমন:
التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِيْنَ ، أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ .
উচ্চারণঃ আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস-সালাওয়াতু
ওয়াত-ত্বায়্যিবাতু আস-সালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ; আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিছ ছালিহীন। আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহ।
অর্থঃ সকল সম্মান-সম্ভাষণ, সকল সালাত ও সকল পবিত্রতা আল্লাহ তা'আলার জন্য। হে নবি! আপনার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও বরকত বর্ষিত হোক। শান্তি আমাদের ওপর এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের ওপর বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো মাবুদ বা উপাস্য নাই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসুল। (বুখারী, হাঃ ৮৩১)
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সাল্লিআলা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আ-লি ইব্রাহীম, ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা বারাকতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আ-লি ইব্রাহীম, ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বংশধরদের উপর রহমত বর্ষণ করুন, যেরূপ আপনি ইবরাহীম (আঃ) এবং তাঁর বংশধরদের উপর রহমত বর্ষণ করেছেন। নিশ্চয়ই আপনি অতি প্রশংসিত, অত্যন্ত মর্যাদার অধিকারী। হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বংশধরদের উপর তেমনি বরকত দান করুন যেমনি আপনি বরকত দান করেছেন ইবরাহীম (আঃ) এবং ইবরাহীম (আঃ)-এর বংশধরদের উপর। নিশ্চয়ই আপনি অতি প্রশংসিত, অতি মর্যাদার অধিকারী। (বুখারী, হাঃ ৩৩৭০, মুসলিম, হাঃ ৭৯৪, মুসনাদে আহমদ, হাঃ ১৮১৫৮)
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী জালামতু নাফসী জুলমান
কাছীরাওঁ ওয়ালা ইয়াগফিরুয যুনুবা ইল্লা আনতা ফাগফিরলী মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা ওয়ারহামনী ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহীম।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আমার নিজ আত্মার উপর বড়ই অত্যাচার করেছি, গুনাহ মাফকারী একমাত্র তুমিই; অতএব তুমি আপনা হইতে আমাকে সম্পূর্ণ ক্ষমা কর এবং আমার প্রতি দয়া কর। তুমি নিশ্চয়ই ক্ষমাশীল দয়ালু। (বুখারী, হাঃ ৮৩৪)
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্না নাছতাঈ'নুকা ওয়া নাছতাগ ফিরুকা ওয়ানু'মিনু বিকা ওয়ানাতাওয়াক্কালু আলাইকা ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইর, ওয়া নাশকুরুকা ওয়ালা নাক ফুরুকা ওয়ানাখলাউ' ওয়ানাত রুকু মাইয়্যাফযুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না'বুদু ওয়ালাকা নুছাললী ওয়ানাছজুদু ওয়াইলাইকা নাসয়া' ওয়ানাহফিদু ওয়ানারজু রাহমাতাকা ওয়ানাখশা আজাবাকা ইন্না আজাবাকা বিলকুফফারি মূলহিক্ব।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমরা আপনারই সাহায্যপ্রার্থী এবং একমাত্র আপনার কাছেই ক্ষমাপ্রার্থী। আপনার উপর আমরা ঈমান এনেছি এবং আপনার উপরই ভরসা করি, আপনার উত্তম প্রশংসা করি, আপনার শোকর আদায় করি, আপনার প্রতি অকৃতজ্ঞ হই না, যারা আপনার নাফরমানী করে, তাদেরকে পরিত্যাগ করি এবং তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করি। হে আল্লাহ! আমরা আপনারই ইবাদাত করি, আপনার জন্যই নামাজ পড়ি এবং আপনার জন্যই সিজদা করি, আপনার দিকেই ধাবিত হই, আপনার হুকুম পালনের জন্যই প্রস্তুত থাকি, আপনার দয়ার আশা করি, আপনার শাস্তিকে ভয় পাই। নিঃসন্দেহে আপনার শাস্তি ভোগ করবে কাফির সম্প্রদায়। (বায়হাকি, হাঃ ২৯৬১, মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাঃ ৪৯৭০, তাহজিবুল আছার, হাঃ ২৬৪৯)
বিঃদ্রঃ দোয়া কুনুত বিতরের নামাযে পড়তে হয়।
উচ্চারণঃ আসসালামু আ'লাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
অর্থঃ আপনাদের প্রতি সর্ব প্রকার শান্তি, আল্লাহর করুণা ও তাঁর কল্যাণ অবতীর্ণ হোক। (সহীহ মুসলিম, হাঃ ৮৫৬)
أَسْتَغْفِرُ اللهَ
উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লাহ
অর্থঃ আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। (মুসলিম, হাঃ ১২১২)
اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আনতাস সালা-মু ওয়া মিনকাস সালা-ম, তাবা-রাকতা ইয়া যাল জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনার গুণবাচক নাম সালাম। আপনি শান্তিদাতা। আপনি কল্যাণময়। আপনি মহিমা ও মর্যাদার অধিকারী। (মুসলিম, হাঃ ১২১২)
আয়াতুল কুরসী অর্থাৎ সুরা বাকারার ২৫৫ নং আয়াত। (তাবরানী, হাঃ ৬৭৪)
اللهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ : لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَهُ مَا فِي السَّمَوَاتِ وَ مَا فِي الْأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَةً إِلَّا بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَ مَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاتِ وَ الْأَرْضَ وَلَا يَعُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ
উচ্চারণঃ আল্লা-হু লাইলা-হা ইল্লা-হুও, আল হাইয়ুল কাইয়ূম, লা-তা'খুযুহু ছিনাতুওঁ ওয়ালা-নাওম, লাহু মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদ্ব, মান যাল্লাযী ইয়াশফা'উ 'ইনদাহুইল্লা-বিইযনিহ; ইয়া'লামুমা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খালফাহুম, ওয়ালা-ইউহীতুনা বিশাইইম মিন 'ইলমিহীইল্লা-বিমা-শাআ, ওয়াছি'আ কুরছিইয়ুহুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্ব, ওয়ালা-ইয়াউদুহু হিফজু হুমা-ওয়া হুওয়াল 'আলিইয়ূল 'আজীম।
অর্থঃ আল্লাহ্, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক। তাঁহাকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না। আকাশ ও পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে সমস্ত তাঁহারই। কে সে, যে তাঁহার অনুমতি ব্যতীত তাঁহার নিকট সুপারিশ করিবে? তাহাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যাহা কিছু আছে তাহা তিনি অবগত। যাহা তিনি ইচ্ছা করেন তদ্ব্যতীত তাঁহার জ্ঞানের কিছুই তাহারা আয়ত্ত করিতে পারে না। তাঁহার কুরসী' আকাশ ও পৃথিবীময় পরিব্যাপ্ত; ইহাদের রক্ষণাবেক্ষণ তাঁহাকে ক্লান্ত করে না; আর তিনি মহান, শ্রেষ্ঠ।
لا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَةً لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرُ اللَّهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ ، وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ.
উচ্চারণঃ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া'হদাহু লা-শারীকা লাহ্, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া 'আলা-কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। আল্লাহুম্মা লা-মা-নি'আ লিমা- আ'তাইতা, ওয়া লা- মু'তিয়া লিমা- মানা'তা, ওয়া লা- ইয়ানফা'উ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু।
অর্থঃ এক আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, সার্বভোমত্ব একমাত্র তাঁরই, সমস্ত প্রশংসা একমাত্র তাঁরই জন্য, তিনি সব কিছুর উপরই ক্ষমতাশীল। ইয়া আল্লাহ! আপনি যা প্রদান করতে চান তা রোধ করার কেউ নেই। আপনার কাছে (সৎকাজ ভিন্ন) কোন সম্পদশালীর সম্পদ উপকারে আসে না। (বুখারী, হাঃ ৮০৪)
اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আ'ইন্নী 'আলা- যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া 'হুসনি 'ইবা-দাতিক।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনার স্মরণে, আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশে এবং আপনার উত্তম ইবাদাতে আমাকে সাহায্য করুন। (আবু দাউদ, হাঃ ১৫২২)
নিম্নের তাসবীহ গুলো ১০০ বার
৩৩ বারঃ সুবহানাল্লাহ
অর্থঃ আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি।
৩৩ বারঃ আলহামদুলিল্লাহ
অর্থঃ সকল প্রশংসা আল্লাহর
৩৪ বারঃ আল্লাহু আকবার
অর্থঃ আল্লাহর সর্বমহান। (নাসাঈ, হাঃ ১৩৫৩)
অথবা তেত্রিশ বার 'সুবহানাল্লাহ', তেত্রিশ বার 'আলহামদুলিল্লাহ', তেত্রিশবার 'আল্লাহু আকবার' বলবে (এ মিলে হয় মোট নিরানব্বই) আর শত পূর্ণ করবে এই বলে, 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির'। (সহিহ মুসলিম, হাঃ ১২৩৯)
সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস (এই সুরাগুলো সকাল-সন্ধ্যায় ৩ বার করে পড়া সুন্নাত)। (আবু দাউদ, হাঃ ১৫২৩)
সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস 'নামাজের সূরা এবং আল কোরআন' অধ্যায়ে দেওয়া হয়েছে, সেজন্য এখানে আর উল্লেখ করা হয়নি। যদি এই সূরা গুলো কারো দেখার প্রয়োজন হলে 'নামাজের সূরা অথবা আল কোরআন' অধ্যায়ে দেখুন।
لا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَةً لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍقَدِيرٌ . لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَلَا نَعْبُدُ إِلَّا إِيَّاهُ، لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْ كَرِةَ الْكَافِرُونَ.
উচ্চারণঃ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া'হদাহু লা-শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। লা হাওলা ওয়া লা- কুউওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়া লা- না'বুদু ইল্লা-ইয়্যা-হ, লাহুন নি'মাতু ওয়া লাহুল ফাদ্বলু ওয়া লাহুস্ সানা-উল হাসান। লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু মুখলিসীনা লাহুদ্দীন। ওয়া লাও কারিহাল কা-ফিরূন।
অর্থঃ আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো হক উপাস্য নেই। তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁর এবং যাবতীয় প্রশংসা কেবল তার। তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাশালী। নেই কোন ক্ষমতা, নেই কোনো শক্তি, আল্লাহর মাধ্যম ব্যতীত। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক উপাস্য নেই এবং আমরা আল্লাহ ছাড়া আর কারো ইবাদত করি না। নিয়ামত তাঁরই, করুণা তাঁরই এবং উত্তম প্রশংসা তারই। আল্লাহ ছাড়া কোন হক উপাস্য নেই। আমরা কেবল তাঁর জন্য একনিষ্ঠভাবে দীন মান্য করি, যদিও এতে কাফেররা অসন্তুষ্ট হয়। (মুসলিম, হাঃ ১২৩০)
উচ্চারণঃ রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়া ক্বিনা আযাবাননার।
অর্থঃ হে আমাদের মহান আল্লাহ! আমাদেরকে দুনিয়াতে এবং আখেরাতে উভয় জাহানে রহমত দান কর এবং দোযখের আযাব থেকে মুক্তি দান কর। (সূরা বাক্বারাহ, আয়াতঃ ২০১)
উচ্চারণঃ রাব্বানা যোয়ালামনা আন-ফুসানা ওয়া-ইল্লাম তাগ-ফিরলানা, ওয়াতার হা'মনা লানা কুনান্না মিনাল খাসিরিন।
অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি যুলুম করেছি, অতএব আপনি যদি আমদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি দয়া না করেন তাহলে নিশ্চয়ই আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হব। (সূরা আ'রাফ, আয়াতঃ ২৩)
উচ্চারণঃ রাব্বির হা'ম-হুমা কামা রাব্বা ইয়ানি সাগিরা।
অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমার পিতা-মাতার প্রতি তেমনি দয়া করুন যেইরকম দয়া তারা আমাকে শিশু অবস্থায় করেছিল। (সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াতঃ ২৪)
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিআঁ, ওয়া রিঝক্বান ত্বাইয়্যিবাঁ, ওয়া আমালাম্ নাফিআঁ, ওয়া রিঝক্বান ত্বাইয়্যিবাঁ, ওয়া আমালাম্ মুতাক্বাব্বালা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট উপকারী জ্ঞান, পবিত্র জীবিকা ও গ্রহণযোগ্য আমল প্রার্থনা করছি। (ইবনে মাজাহ, হাঃ ৯২৫)
উচ্চারণঃ রাব্বানা আফরিগ আলাইনা স্বাবরাওঁ ওয়া ছাব্বিত আক্বদামানা ওয়ানসুরনা আলাল ক্বাওমিল কাফিরীন।
অর্থঃ হে প্রভু! আমাদেরকে ধৈর্য দিন। আমাদেরকে দ্বীনের ওপর দৃঢ় রাখুন এবং কাফেরদের মোকাবেলায় জয়ী করুন। (সূরা বাক্বারাহ, আয়াতঃ ২৫০)
বিঃদ্রঃ উপরের উল্লেখিত মোনাজাতের দোয়াসমূহের সাথেই নিজের জানা যেকোন দোয়াও পড়া যাবে। এছাড়াও আরবিতে জানা না থাকলেও নিজ ভাষাতেই আল্লাহর কাছে দোয়া চাইবে।
সানা, রুকু সিজদার নিয়ম, তাশাহুদ/আত্তাহিয়াতু, দরূদ শরীফ, দোয়ায়ে মাসূরা, দোয়ায়ে কুনুত,
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ
উচ্চারণঃ সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাছমুকা ওয়া তা'আলা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুক।
অর্থঃ হে আল্লাহ্! আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। তুমি প্রশংসাময়, তোমার নাম বরকতময়, তোমার মর্যাদা অতি উচ্চে, আর তুমি ব্যতীত সত্যিকার কোন মা'বুদ নেই। (তিরমিজি, হাঃ ২৪২)
سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ
উচ্চারণঃ সুবহানা রাব্বিয়াল আজীম।
অর্থঃ আমি আমার মহান প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি। (আবু দাউদ, হাঃ ৮৭১)
> দো'আটি তিন বা তার অধিক (পাঁচবার/সাতবার) পড়া ভাল।
سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَةً
উচ্চারণঃ সামি'আল্লাহু লিমান হামিদাহ্।
অর্থঃ আল্লাহ সে ব্যক্তির কথা শোনেন, যে তাঁর প্রশংসা করেন। (বুখারী, হাঃ ৭৮৯)
উচ্চারণঃ রাব্বানা লাকাল হামদ।
অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার জন্যই সমস্ত প্রশংসা। (বুখারী, হাঃ ৭৮৯)
এরপর 'আল্লাহু আকবার' বলে সিজদায় যাবে। এবং নিম্নোক্ত দোয়াটি তিনবার বা তার অধিক (পাঁচবার বা সাতবার) পাঠ করবে।
سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى
উচ্চারণঃ সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা।
অর্থঃ আমার সর্বোচ্চ প্রতিপালকের (আল্লাহর) প্রশংসা করছি। (আবু দাউদ, হাঃ ৮৭১)
এরপর 'আল্লাহু আকবার' বলে সিজদা থেকে সোজা হয়ে বসবে এবং দুই সিজদার মাঝখানে নিম্নোক্ত যে কোন একটি দোয়া পড়বে।
> হজরত ইবনে আব্বার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই সিজদার মাঝে বলতেন-
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَاجْبُرْنِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাগফিরলী ওয়ারহামনী ওয়াজবুরনী ওয়াহদিনী ওয়ারযুকনী।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করুন, আমাকে সৎপথ প্রদর্শন করুন এবং আমাকে রিজিক দান করুন। (তিরমিজী, হাঃ ২৮৪)
> হজরত হুজায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকে এ দোয়াটি পড়তেন-
رَبِّ اغْفِرْ لِي ، رَبِّ اغْفِرْ لِي
উচ্চারণঃ রব্বিগফির লী, রব্বিগফির লী।
অর্থঃ হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। (ইবনু মাজাহ, হাঃ ৮৯৭)
দুই সিজদার মধ্যবর্তী উপরের উল্লেখিত দু'টি দোয়া থেকে যেকোন একটি দোয়া পড়বে। অতঃপর পুনরায় 'আল্লাহু আকবার' বলে দ্বিতীয় সিজদা দিবে এবং প্রথম সিজদার অনুরূপ করবে।
নামাযের শেষের সালাম ও পাঁচ ওয়াক্ত সালাত পরবর্তী মাসনূন দু'আ ও যিকির, কতিপয় মোনাজাতের দোয়া ইত্যাদি।
আরো পড়ুন : নারী ও পুরুষের সহীহ নামাজ শিক্ষা চিত্রসহ
সানা
দো'আ ইস্তেফতাহ (সানা) পাঠ করা সুন্নাত। দো'আ ইস্তেফতাহ নিম্নরূপঃسُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ
উচ্চারণঃ সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাছমুকা ওয়া তা'আলা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুক।
অর্থঃ হে আল্লাহ্! আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। তুমি প্রশংসাময়, তোমার নাম বরকতময়, তোমার মর্যাদা অতি উচ্চে, আর তুমি ব্যতীত সত্যিকার কোন মা'বুদ নেই। (তিরমিজি, হাঃ ২৪২)
রুকু সিজদার নিয়ম
সূরা ক্বিরাতের পর 'আল্লাহু আকবার' বলে রুকুতে যাবে এবং নিম্নোক্ত রুকুর দোয়াটি পাঠ করবেঃسُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ
উচ্চারণঃ সুবহানা রাব্বিয়াল আজীম।
অর্থঃ আমি আমার মহান প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি। (আবু দাউদ, হাঃ ৮৭১)
> দো'আটি তিন বা তার অধিক (পাঁচবার/সাতবার) পড়া ভাল।
রুকু থেকে উঠার দোয়া
উচ্চারণঃ সামি'আল্লাহু লিমান হামিদাহ্।
অর্থঃ আল্লাহ সে ব্যক্তির কথা শোনেন, যে তাঁর প্রশংসা করেন। (বুখারী, হাঃ ৭৮৯)
রুকু থেকে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ার
رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُউচ্চারণঃ রাব্বানা লাকাল হামদ।
অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার জন্যই সমস্ত প্রশংসা। (বুখারী, হাঃ ৭৮৯)
এরপর 'আল্লাহু আকবার' বলে সিজদায় যাবে। এবং নিম্নোক্ত দোয়াটি তিনবার বা তার অধিক (পাঁচবার বা সাতবার) পাঠ করবে।
سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى
উচ্চারণঃ সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা।
অর্থঃ আমার সর্বোচ্চ প্রতিপালকের (আল্লাহর) প্রশংসা করছি। (আবু দাউদ, হাঃ ৮৭১)
এরপর 'আল্লাহু আকবার' বলে সিজদা থেকে সোজা হয়ে বসবে এবং দুই সিজদার মাঝখানে নিম্নোক্ত যে কোন একটি দোয়া পড়বে।
> হজরত ইবনে আব্বার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই সিজদার মাঝে বলতেন-
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَاجْبُرْنِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাগফিরলী ওয়ারহামনী ওয়াজবুরনী ওয়াহদিনী ওয়ারযুকনী।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করুন, আমাকে সৎপথ প্রদর্শন করুন এবং আমাকে রিজিক দান করুন। (তিরমিজী, হাঃ ২৮৪)
> হজরত হুজায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকে এ দোয়াটি পড়তেন-
رَبِّ اغْفِرْ لِي ، رَبِّ اغْفِرْ لِي
উচ্চারণঃ রব্বিগফির লী, রব্বিগফির লী।
অর্থঃ হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। (ইবনু মাজাহ, হাঃ ৮৯৭)
দুই সিজদার মধ্যবর্তী উপরের উল্লেখিত দু'টি দোয়া থেকে যেকোন একটি দোয়া পড়বে। অতঃপর পুনরায় 'আল্লাহু আকবার' বলে দ্বিতীয় সিজদা দিবে এবং প্রথম সিজদার অনুরূপ করবে।
আরো পড়ুন : সাতটি কালিমার আরবী ও বাংলা উচ্চারণ এবং তার অর্থ।
তাশাহুদ/আত্তাহিয়াতু
তাশাহুদ/আত্তাহিয়াতু যা সর্বপ্রকার নামাযের মধ্যবৈঠক এবং শেষ বৈঠকে সিজদা থেকে উঠে বসার পরপরই পাঠ করা ওয়াজিব।التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِيْنَ ، أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ .
উচ্চারণঃ আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস-সালাওয়াতু
ওয়াত-ত্বায়্যিবাতু আস-সালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ; আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিছ ছালিহীন। আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহ।
অর্থঃ সকল সম্মান-সম্ভাষণ, সকল সালাত ও সকল পবিত্রতা আল্লাহ তা'আলার জন্য। হে নবি! আপনার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও বরকত বর্ষিত হোক। শান্তি আমাদের ওপর এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের ওপর বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো মাবুদ বা উপাস্য নাই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসুল। (বুখারী, হাঃ ৮৩১)
দরূদ শরীফ
اللهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌউচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সাল্লিআলা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আ-লি ইব্রাহীম, ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা বারাকতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আ-লি ইব্রাহীম, ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বংশধরদের উপর রহমত বর্ষণ করুন, যেরূপ আপনি ইবরাহীম (আঃ) এবং তাঁর বংশধরদের উপর রহমত বর্ষণ করেছেন। নিশ্চয়ই আপনি অতি প্রশংসিত, অত্যন্ত মর্যাদার অধিকারী। হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বংশধরদের উপর তেমনি বরকত দান করুন যেমনি আপনি বরকত দান করেছেন ইবরাহীম (আঃ) এবং ইবরাহীম (আঃ)-এর বংশধরদের উপর। নিশ্চয়ই আপনি অতি প্রশংসিত, অতি মর্যাদার অধিকারী। (বুখারী, হাঃ ৩৩৭০, মুসলিম, হাঃ ৭৯৪, মুসনাদে আহমদ, হাঃ ১৮১৫৮)
দোয়ায়ে মাসূরা
اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا وَلَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُউচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী জালামতু নাফসী জুলমান
কাছীরাওঁ ওয়ালা ইয়াগফিরুয যুনুবা ইল্লা আনতা ফাগফিরলী মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা ওয়ারহামনী ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহীম।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আমার নিজ আত্মার উপর বড়ই অত্যাচার করেছি, গুনাহ মাফকারী একমাত্র তুমিই; অতএব তুমি আপনা হইতে আমাকে সম্পূর্ণ ক্ষমা কর এবং আমার প্রতি দয়া কর। তুমি নিশ্চয়ই ক্ষমাশীল দয়ালু। (বুখারী, হাঃ ৮৩৪)
দোয়ায়ে কুনুত
اللهُمَّ إِنَّا نَسْتَعِينُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلْ عَلَيْكَ وَنُثْنِي عَلَيْكَ الْخَيْرَ، وَنَشْكُرُكَ وَلَا تَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَفْجُرُكَ اللَّهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّي وَنَسْجُدُ وَإِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوا رَحْمَتَكَ وَنَخْشُى عَذَا بَكَ إِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌউচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্না নাছতাঈ'নুকা ওয়া নাছতাগ ফিরুকা ওয়ানু'মিনু বিকা ওয়ানাতাওয়াক্কালু আলাইকা ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইর, ওয়া নাশকুরুকা ওয়ালা নাক ফুরুকা ওয়ানাখলাউ' ওয়ানাত রুকু মাইয়্যাফযুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না'বুদু ওয়ালাকা নুছাললী ওয়ানাছজুদু ওয়াইলাইকা নাসয়া' ওয়ানাহফিদু ওয়ানারজু রাহমাতাকা ওয়ানাখশা আজাবাকা ইন্না আজাবাকা বিলকুফফারি মূলহিক্ব।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমরা আপনারই সাহায্যপ্রার্থী এবং একমাত্র আপনার কাছেই ক্ষমাপ্রার্থী। আপনার উপর আমরা ঈমান এনেছি এবং আপনার উপরই ভরসা করি, আপনার উত্তম প্রশংসা করি, আপনার শোকর আদায় করি, আপনার প্রতি অকৃতজ্ঞ হই না, যারা আপনার নাফরমানী করে, তাদেরকে পরিত্যাগ করি এবং তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করি। হে আল্লাহ! আমরা আপনারই ইবাদাত করি, আপনার জন্যই নামাজ পড়ি এবং আপনার জন্যই সিজদা করি, আপনার দিকেই ধাবিত হই, আপনার হুকুম পালনের জন্যই প্রস্তুত থাকি, আপনার দয়ার আশা করি, আপনার শাস্তিকে ভয় পাই। নিঃসন্দেহে আপনার শাস্তি ভোগ করবে কাফির সম্প্রদায়। (বায়হাকি, হাঃ ২৯৬১, মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাঃ ৪৯৭০, তাহজিবুল আছার, হাঃ ২৬৪৯)
বিঃদ্রঃ দোয়া কুনুত বিতরের নামাযে পড়তে হয়।
নামাযের শেষের সালাম ও পাঁচ ওয়াক্ত সালাত পরবর্তী মাসনূন দু'আ ও যিকির
নামাযের শেষের সালাম
السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِউচ্চারণঃ আসসালামু আ'লাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
অর্থঃ আপনাদের প্রতি সর্ব প্রকার শান্তি, আল্লাহর করুণা ও তাঁর কল্যাণ অবতীর্ণ হোক। (সহীহ মুসলিম, হাঃ ৮৫৬)
পাঁচ ওয়াক্ত সালাত পরবর্তী মাসনূন দু'আ ও যিকর
ফরয সালাতের পর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিম্নোক্ত যিকির ও দু'আ পড়তেন। যে কোনো মুসলিমের জন্য এগুলো গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ। সালাম ফেরানোর পর প্রথমে-৩ বার
أَسْتَغْفِرُ اللهَ
উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লাহ
অর্থঃ আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। (মুসলিম, হাঃ ১২১২)
১ বার
اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আনতাস সালা-মু ওয়া মিনকাস সালা-ম, তাবা-রাকতা ইয়া যাল জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনার গুণবাচক নাম সালাম। আপনি শান্তিদাতা। আপনি কল্যাণময়। আপনি মহিমা ও মর্যাদার অধিকারী। (মুসলিম, হাঃ ১২১২)
১ বার
আয়াতুল কুরসী অর্থাৎ সুরা বাকারার ২৫৫ নং আয়াত। (তাবরানী, হাঃ ৬৭৪)
اللهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ : لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَهُ مَا فِي السَّمَوَاتِ وَ مَا فِي الْأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَةً إِلَّا بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَ مَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاتِ وَ الْأَرْضَ وَلَا يَعُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ
উচ্চারণঃ আল্লা-হু লাইলা-হা ইল্লা-হুও, আল হাইয়ুল কাইয়ূম, লা-তা'খুযুহু ছিনাতুওঁ ওয়ালা-নাওম, লাহু মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদ্ব, মান যাল্লাযী ইয়াশফা'উ 'ইনদাহুইল্লা-বিইযনিহ; ইয়া'লামুমা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খালফাহুম, ওয়ালা-ইউহীতুনা বিশাইইম মিন 'ইলমিহীইল্লা-বিমা-শাআ, ওয়াছি'আ কুরছিইয়ুহুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্ব, ওয়ালা-ইয়াউদুহু হিফজু হুমা-ওয়া হুওয়াল 'আলিইয়ূল 'আজীম।
অর্থঃ আল্লাহ্, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক। তাঁহাকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না। আকাশ ও পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে সমস্ত তাঁহারই। কে সে, যে তাঁহার অনুমতি ব্যতীত তাঁহার নিকট সুপারিশ করিবে? তাহাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যাহা কিছু আছে তাহা তিনি অবগত। যাহা তিনি ইচ্ছা করেন তদ্ব্যতীত তাঁহার জ্ঞানের কিছুই তাহারা আয়ত্ত করিতে পারে না। তাঁহার কুরসী' আকাশ ও পৃথিবীময় পরিব্যাপ্ত; ইহাদের রক্ষণাবেক্ষণ তাঁহাকে ক্লান্ত করে না; আর তিনি মহান, শ্রেষ্ঠ।
১ বার
لا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَةً لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرُ اللَّهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ ، وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ.
উচ্চারণঃ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া'হদাহু লা-শারীকা লাহ্, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া 'আলা-কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। আল্লাহুম্মা লা-মা-নি'আ লিমা- আ'তাইতা, ওয়া লা- মু'তিয়া লিমা- মানা'তা, ওয়া লা- ইয়ানফা'উ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু।
অর্থঃ এক আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, সার্বভোমত্ব একমাত্র তাঁরই, সমস্ত প্রশংসা একমাত্র তাঁরই জন্য, তিনি সব কিছুর উপরই ক্ষমতাশীল। ইয়া আল্লাহ! আপনি যা প্রদান করতে চান তা রোধ করার কেউ নেই। আপনার কাছে (সৎকাজ ভিন্ন) কোন সম্পদশালীর সম্পদ উপকারে আসে না। (বুখারী, হাঃ ৮০৪)
১ বার
اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আ'ইন্নী 'আলা- যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া 'হুসনি 'ইবা-দাতিক।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনার স্মরণে, আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশে এবং আপনার উত্তম ইবাদাতে আমাকে সাহায্য করুন। (আবু দাউদ, হাঃ ১৫২২)
নিম্নের তাসবীহ গুলো ১০০ বার
৩৩ বারঃ সুবহানাল্লাহ
অর্থঃ আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি।
৩৩ বারঃ আলহামদুলিল্লাহ
অর্থঃ সকল প্রশংসা আল্লাহর
৩৪ বারঃ আল্লাহু আকবার
অর্থঃ আল্লাহর সর্বমহান। (নাসাঈ, হাঃ ১৩৫৩)
অথবা তেত্রিশ বার 'সুবহানাল্লাহ', তেত্রিশ বার 'আলহামদুলিল্লাহ', তেত্রিশবার 'আল্লাহু আকবার' বলবে (এ মিলে হয় মোট নিরানব্বই) আর শত পূর্ণ করবে এই বলে, 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির'। (সহিহ মুসলিম, হাঃ ১২৩৯)
১ বার
সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস (এই সুরাগুলো সকাল-সন্ধ্যায় ৩ বার করে পড়া সুন্নাত)। (আবু দাউদ, হাঃ ১৫২৩)
সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস 'নামাজের সূরা এবং আল কোরআন' অধ্যায়ে দেওয়া হয়েছে, সেজন্য এখানে আর উল্লেখ করা হয়নি। যদি এই সূরা গুলো কারো দেখার প্রয়োজন হলে 'নামাজের সূরা অথবা আল কোরআন' অধ্যায়ে দেখুন।
১ বার
لا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَةً لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍقَدِيرٌ . لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَلَا نَعْبُدُ إِلَّا إِيَّاهُ، لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْ كَرِةَ الْكَافِرُونَ.
উচ্চারণঃ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া'হদাহু লা-শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। লা হাওলা ওয়া লা- কুউওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়া লা- না'বুদু ইল্লা-ইয়্যা-হ, লাহুন নি'মাতু ওয়া লাহুল ফাদ্বলু ওয়া লাহুস্ সানা-উল হাসান। লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু মুখলিসীনা লাহুদ্দীন। ওয়া লাও কারিহাল কা-ফিরূন।
অর্থঃ আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো হক উপাস্য নেই। তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁর এবং যাবতীয় প্রশংসা কেবল তার। তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাশালী। নেই কোন ক্ষমতা, নেই কোনো শক্তি, আল্লাহর মাধ্যম ব্যতীত। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক উপাস্য নেই এবং আমরা আল্লাহ ছাড়া আর কারো ইবাদত করি না। নিয়ামত তাঁরই, করুণা তাঁরই এবং উত্তম প্রশংসা তারই। আল্লাহ ছাড়া কোন হক উপাস্য নেই। আমরা কেবল তাঁর জন্য একনিষ্ঠভাবে দীন মান্য করি, যদিও এতে কাফেররা অসন্তুষ্ট হয়। (মুসলিম, হাঃ ১২৩০)
আরো পড়ুন : নামাজের ওয়াক্ত ও রাকাতসমূহের সহীহ বিবরণ
কতিপয় মোনাজাতের দোয়া
মোনাজাতের দোয়া ১
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِউচ্চারণঃ রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়া ক্বিনা আযাবাননার।
অর্থঃ হে আমাদের মহান আল্লাহ! আমাদেরকে দুনিয়াতে এবং আখেরাতে উভয় জাহানে রহমত দান কর এবং দোযখের আযাব থেকে মুক্তি দান কর। (সূরা বাক্বারাহ, আয়াতঃ ২০১)
মোনাজাতের দোয়া ২
رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَউচ্চারণঃ রাব্বানা যোয়ালামনা আন-ফুসানা ওয়া-ইল্লাম তাগ-ফিরলানা, ওয়াতার হা'মনা লানা কুনান্না মিনাল খাসিরিন।
অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি যুলুম করেছি, অতএব আপনি যদি আমদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি দয়া না করেন তাহলে নিশ্চয়ই আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হব। (সূরা আ'রাফ, আয়াতঃ ২৩)
মোনাজাতের দোয়া ৩
رَبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًاউচ্চারণঃ রাব্বির হা'ম-হুমা কামা রাব্বা ইয়ানি সাগিরা।
অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমার পিতা-মাতার প্রতি তেমনি দয়া করুন যেইরকম দয়া তারা আমাকে শিশু অবস্থায় করেছিল। (সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াতঃ ২৪)
মোনাজাতের দোয়া ৪
اللهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا، وَرِزْقًا طَيِّبًا، وَعَمَلًا مُّتَقَبَّلًاউচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিআঁ, ওয়া রিঝক্বান ত্বাইয়্যিবাঁ, ওয়া আমালাম্ নাফিআঁ, ওয়া রিঝক্বান ত্বাইয়্যিবাঁ, ওয়া আমালাম্ মুতাক্বাব্বালা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট উপকারী জ্ঞান, পবিত্র জীবিকা ও গ্রহণযোগ্য আমল প্রার্থনা করছি। (ইবনে মাজাহ, হাঃ ৯২৫)
মোনাজাতের দোয়া ৫
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَفِرِينَউচ্চারণঃ রাব্বানা আফরিগ আলাইনা স্বাবরাওঁ ওয়া ছাব্বিত আক্বদামানা ওয়ানসুরনা আলাল ক্বাওমিল কাফিরীন।
অর্থঃ হে প্রভু! আমাদেরকে ধৈর্য দিন। আমাদেরকে দ্বীনের ওপর দৃঢ় রাখুন এবং কাফেরদের মোকাবেলায় জয়ী করুন। (সূরা বাক্বারাহ, আয়াতঃ ২৫০)
বিঃদ্রঃ উপরের উল্লেখিত মোনাজাতের দোয়াসমূহের সাথেই নিজের জানা যেকোন দোয়াও পড়া যাবে। এছাড়াও আরবিতে জানা না থাকলেও নিজ ভাষাতেই আল্লাহর কাছে দোয়া চাইবে।
শেষ কথা ➡️ এই পোস্টে থেকে আপনারা জানতে পারলেন, নামাজ এর সকল প্রয়োজনীয় দোয়া যার মাধ্যমে আপনি আপনার নামাজ আদায় করাকে সহীহ করতে পারবেন। আপনার মতামত এবং প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত মূল্যবান এবং আমরা সব সময় তাদের স্বাগত জানাই। এই রকম আরো পোস্ট চাইলে কমেন্ট করে আমাদের জানান। আবার আপনার সাথে দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে। ধন্যবাদ।
আমার জীবন বিডিতে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url