নারী ও পুরুষের সহীহ নামাজ শিক্ষা চিত্রসহ ২০২৪
এখানে আমরা নারী ও পুরুষের সহীহ নামাজ শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করব এবং চিত্র এর মাধ্যমে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
১। মনে মনে নিয়ত করবে যে, আমি অমুক নামাজ পড়ছি। মুখে নিয়েতর ভাষা (আরবীতে) উচ্চারণ করা জরুরী নয়, তবে মুস্তাহাব।
২। দুই হাত কান বরাবর এমনভাবে উঠাতে হবে যাতে উভয় হাতলী কিবলার দিকে হয়, আঙ্গুলগুলোর মাথা যেন কিবলামুখী ও স্বাভাবিকভাবে ফাঁক থাকে। অর্থ্যাৎ বৃদ্ধাঙ্গুলী দুইটির মাথা কানের লতির সাথে হয়তো একেবারে মিলে যাবে অথবা বরাবর হবে, বাকী আঙুলগুলো উপরের দিকে থাকবে।
৩। কান থেকে হাত সোজা হাত বাঁধার দিকে নিয়ে যাবে, হাত সোজা নীচের দিকে ছেড়ে দেবে না বা পিছনের দিকে ঝাড়া দেবে না।
৪। উপরোক্ত নিয়মে হাত তোলার সময় আল্লাহু আকবার বলবে। অতঃপর ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলী ও কনিষ্ঠ আঙ্গুলী দ্বারা হালকা বানিয়ে বাম হাতের পাঞ্জাকে ধরবে এবং অবশিষ্ট তিনটি আঙ্গুল বাম হাতের পিঠের ওপর স্বাভাবিকভাবে বিছিয়ে রাখবে যাতে আঙ্গুলের মাথা গুলো কনুই-এর দিকে থাকে।
৫। উভয় হাত নাভীর সামান্য নীচে পেটের সাথে কিছুটা চেপে ধরে উপরোক্ত নিয়মে বাঁধবে।
৬। একাকী নামাজ পড়লে অথবা ইমামতী করলে প্রথমে সুবহানাকা, আউযুবিল্লাহ, বিছমিল্লাহ্, সূরায়ে ফাতিহা ও অপর একটি সূরা পড়বে। মুক্তাদী হলে (ইমামের পিছনে হলে) সুবহানাকা পড়ে চুপ করে একাগ্র মনে ইমামের কিরআত শুনতে থাকবে। সূরায়ে ফাতিহা পাঠ করার পর ইমাম ও মুক্তাদীগণ মৃদুস্বরে আমীন বলবে।
১। দাঁড়ানো অবস্থায় প্রথমে অবশ্যই কিবলামুখী হতে হবে।
২। অতঃপর দাঁড়ানো অবস্থায় দৃষ্টি সিজদাহর জায়গায় থাকবে। গর্দান সামান্য ঝুঁকিয়ে রাখতে হবে। থুতনীকে সীনার সাথে মিলিয়ে রাখা মাকরুহ। নামাজের নিয়ত বাঁধার পূর্ব পর্যন্ত হাত ছাড়া অবস্থায় রাখতে হবে।
৩। পা ও পায়ের আঙুলগুলো কিবলামূখী থাকবে। পা অবশ্যই সোজা রাখতে হবে।
৪। উভয় পায়ের মাঝখানে কমপক্ষে চার আঙ্গুল পরিমাণ ফাঁক রাখতে হবে। সামনে ও পিছনে সমান ফাঁক রাখতে হবে যাতে পা সোজা কিবলামুখী হয়।
৫। জামায়াতে নামাজ পড়ার সময় সোজা হওয়া প্রয়োজন, কাতার সোজা করার সহজ পদ্ধতি যেমন- প্রত্যেকে নিজ নিজ পায়ের গোড়ালীর শেষ মাথা এক বরাবর রাখবে।
৬। জামায়াতের সময় ডানে বামে পরস্পরের বাহুগুলো সমান থাকবে। দুই বাহুর মাঝখানে কোন ফাঁক থাকবে না।
৭। পায়জামা অথবা লুঙ্গি টাকনু (গোড়ালি) উপরে থাকবে।
৮। হাতের আস্তিন সম্পূর্ণ লম্বা হওয়া চাই যাতে কবজি বরাবর ঢেকে থাকে। আস্তিন গুটিয়ে পরা মাকরূহ।
৯। যে ধরণের পোশাক পরে মানুষ জনসমক্ষে যায় না সে ধরণের পোশাক পরে নামাজ পড়া মাকরূহ।
২। বিনা কারণে শরীরের কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নাড়াচাড়া করবে না।
৩। উভয় পায়ের উপর সমান ভার রেখে দাঁড়াতে হবে।
৪। হাই তোলা বা চুলকানো থেকে যথাসাধ্য বিরত থাকার চেষ্টা করবে। যদি বিরত রাখা সম্ভব না হয়, তাহলে হাত বাঁধা অবস্থায় ডান হাতের পেট দিয়ে মুখ বন্ধ করবে। অন্য অবস্থায় বাম হাতের পিঠ দিয়ে মুখ বন্ধ করবে।
৫। দাঁড়ানো অবস্থায় দৃষ্টি সিজদাহর স্থানে রাখবে। এদিক ওদিক দেখা বা সামনের দিকে দেখা থেকে বিরত থাকবে।
১। শরীরের উপর অংশকে ঝুঁকাবে যাতে করে গর্দান ও পিঠ এক বরাবর হয়, এর চেয়ে বেশী ও কম করবে না।
২। রুকু অবস্থায় গর্দান এতটুকু ঝুঁকাবে না যাতে থুতনী সীনার সাথে মিশে যায়। আবার এতটুকুও উপরে রাখবে না যাতে করে গর্দান ও কোমর এক বরাবর হয়ে যায়।
৩। রুকূর মধ্যে পা সোজা রাখবে, পা যেন বাঁকা না হয়।
৪। পায়ের নলা সোজা খাড়া রাখবে, সামনে বা পিছনে ঝুঁকবে না।
৫। রুকূতে যাওয়ার সময় হাত সোজা ছেড়ে দেবে না বা পিছনের দিকে ঝাড়া দেবে না।
৬। উভয় হাত হাঁটুর উপর এমনভাবে রাখতে হবে যাতে আঙুলগুলো খোলা থাকে এবং দুই আঙ্গুলের মাঝখানে ফাঁক থাকে। এভাবে ডান হাত দ্বারা ডান হাঁটু এবং বাম হাত দ্বারা বাম হাঁটু শক্তভাবে ধরবে।
৭। রুকূকালীন সময়ে হাত ও বাহু সোজা থাকা চাই কোন অবস্থাতেই যেন বক্রতা না আসে। পাজড় থেকে বাহুকে পৃথক রাখবে।
৮। রুকূকালীন সময়ে দৃষ্টি উভয় পায়ের মধ্যবর্তী স্থানের ওপর রাখবে।
৯। রুকূতে স্থিরতার সাথে ততক্ষণ দেরী করবে, যাতে কমপক্ষে ৩ বার 'সুবহানা রাব্বিয়াল আজীম' পড়বে। সম্ভব হলে ৫, ৭ ও ৯ বার পড়া উত্তম।
১০। উভয় পায়ের ভারসাম্য সমান থাকবে এবং গোড়ালী দুইটি পাশাপাশি থাকবে। আগে পিছে নয়।
তো দেরি নাহ করে, শিখে নিই কিভাবে সহীহ ভাবে নামাজ পড়তে হয়।
আরো পড়ুন : নামাজ এর সকল প্রয়োজনীয় দোয়া
নামাজ শিক্ষা (পুরুষ)
১ম ফরজঃ তাকবীরে তাহরীমা
নামাজের ভিতরে সাতটি ফরজ। ১ম ফরজঃ তাকবীরে তাহরীমা-'আল্লাহু আকবার'। নামাজ শুরু করার সময়ঃ১। মনে মনে নিয়ত করবে যে, আমি অমুক নামাজ পড়ছি। মুখে নিয়েতর ভাষা (আরবীতে) উচ্চারণ করা জরুরী নয়, তবে মুস্তাহাব।
২। দুই হাত কান বরাবর এমনভাবে উঠাতে হবে যাতে উভয় হাতলী কিবলার দিকে হয়, আঙ্গুলগুলোর মাথা যেন কিবলামুখী ও স্বাভাবিকভাবে ফাঁক থাকে। অর্থ্যাৎ বৃদ্ধাঙ্গুলী দুইটির মাথা কানের লতির সাথে হয়তো একেবারে মিলে যাবে অথবা বরাবর হবে, বাকী আঙুলগুলো উপরের দিকে থাকবে।
৩। কান থেকে হাত সোজা হাত বাঁধার দিকে নিয়ে যাবে, হাত সোজা নীচের দিকে ছেড়ে দেবে না বা পিছনের দিকে ঝাড়া দেবে না।
৪। উপরোক্ত নিয়মে হাত তোলার সময় আল্লাহু আকবার বলবে। অতঃপর ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলী ও কনিষ্ঠ আঙ্গুলী দ্বারা হালকা বানিয়ে বাম হাতের পাঞ্জাকে ধরবে এবং অবশিষ্ট তিনটি আঙ্গুল বাম হাতের পিঠের ওপর স্বাভাবিকভাবে বিছিয়ে রাখবে যাতে আঙ্গুলের মাথা গুলো কনুই-এর দিকে থাকে।
৫। উভয় হাত নাভীর সামান্য নীচে পেটের সাথে কিছুটা চেপে ধরে উপরোক্ত নিয়মে বাঁধবে।
৬। একাকী নামাজ পড়লে অথবা ইমামতী করলে প্রথমে সুবহানাকা, আউযুবিল্লাহ, বিছমিল্লাহ্, সূরায়ে ফাতিহা ও অপর একটি সূরা পড়বে। মুক্তাদী হলে (ইমামের পিছনে হলে) সুবহানাকা পড়ে চুপ করে একাগ্র মনে ইমামের কিরআত শুনতে থাকবে। সূরায়ে ফাতিহা পাঠ করার পর ইমাম ও মুক্তাদীগণ মৃদুস্বরে আমীন বলবে।
২য় ফরজঃ দাড়িয়ে নামাজ পড়া
দাড়িয়ে নামাজ পড়া। দাঁড়ানো অবস্থায়ঃ১। দাঁড়ানো অবস্থায় প্রথমে অবশ্যই কিবলামুখী হতে হবে।
২। অতঃপর দাঁড়ানো অবস্থায় দৃষ্টি সিজদাহর জায়গায় থাকবে। গর্দান সামান্য ঝুঁকিয়ে রাখতে হবে। থুতনীকে সীনার সাথে মিলিয়ে রাখা মাকরুহ। নামাজের নিয়ত বাঁধার পূর্ব পর্যন্ত হাত ছাড়া অবস্থায় রাখতে হবে।
৩। পা ও পায়ের আঙুলগুলো কিবলামূখী থাকবে। পা অবশ্যই সোজা রাখতে হবে।
৪। উভয় পায়ের মাঝখানে কমপক্ষে চার আঙ্গুল পরিমাণ ফাঁক রাখতে হবে। সামনে ও পিছনে সমান ফাঁক রাখতে হবে যাতে পা সোজা কিবলামুখী হয়।
৫। জামায়াতে নামাজ পড়ার সময় সোজা হওয়া প্রয়োজন, কাতার সোজা করার সহজ পদ্ধতি যেমন- প্রত্যেকে নিজ নিজ পায়ের গোড়ালীর শেষ মাথা এক বরাবর রাখবে।
৬। জামায়াতের সময় ডানে বামে পরস্পরের বাহুগুলো সমান থাকবে। দুই বাহুর মাঝখানে কোন ফাঁক থাকবে না।
৭। পায়জামা অথবা লুঙ্গি টাকনু (গোড়ালি) উপরে থাকবে।
৮। হাতের আস্তিন সম্পূর্ণ লম্বা হওয়া চাই যাতে কবজি বরাবর ঢেকে থাকে। আস্তিন গুটিয়ে পরা মাকরূহ।
৯। যে ধরণের পোশাক পরে মানুষ জনসমক্ষে যায় না সে ধরণের পোশাক পরে নামাজ পড়া মাকরূহ।
আরো পড়ুন : আযান দেওয়ার নিয়ম ও আযানের উত্তর - ইসলামিক বিবরণ
৩য় ফরজঃ কিরাত করা
১। যখন সূরা ফাতিহা পাঠ করবে তখন এক এক আয়াত থেমে থেমে পড়বে। প্রত্যেক আয়াতের শেষে নিঃশ্বাস ছেড়ে দেবে। যেমন- আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন (থামবে)। আর রাহমানির রাহীম (থামবে) মালিকি ইয়াওমিদ্দীন (থামবে)। এভাবে সূরা শেষ করবে। এক নিশ্বাসে কয়েক আয়াত পড়বে না। সূরা ফাতিহা ছাড়া অপর যে কোন সূরা পাঠ করার সময় এক নিশ্বাসে এক বা একাধিক আয়াত পাঠ করা যায়।২। বিনা কারণে শরীরের কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নাড়াচাড়া করবে না।
৩। উভয় পায়ের উপর সমান ভার রেখে দাঁড়াতে হবে।
৪। হাই তোলা বা চুলকানো থেকে যথাসাধ্য বিরত থাকার চেষ্টা করবে। যদি বিরত রাখা সম্ভব না হয়, তাহলে হাত বাঁধা অবস্থায় ডান হাতের পেট দিয়ে মুখ বন্ধ করবে। অন্য অবস্থায় বাম হাতের পিঠ দিয়ে মুখ বন্ধ করবে।
৫। দাঁড়ানো অবস্থায় দৃষ্টি সিজদাহর স্থানে রাখবে। এদিক ওদিক দেখা বা সামনের দিকে দেখা থেকে বিরত থাকবে।
৪র্থ ফরজঃ রুকু করা
৪র্থ ফরজঃ রুকূ করা। রুকুর মধ্যেঃ১। শরীরের উপর অংশকে ঝুঁকাবে যাতে করে গর্দান ও পিঠ এক বরাবর হয়, এর চেয়ে বেশী ও কম করবে না।
২। রুকু অবস্থায় গর্দান এতটুকু ঝুঁকাবে না যাতে থুতনী সীনার সাথে মিশে যায়। আবার এতটুকুও উপরে রাখবে না যাতে করে গর্দান ও কোমর এক বরাবর হয়ে যায়।
৩। রুকূর মধ্যে পা সোজা রাখবে, পা যেন বাঁকা না হয়।
৪। পায়ের নলা সোজা খাড়া রাখবে, সামনে বা পিছনে ঝুঁকবে না।
৫। রুকূতে যাওয়ার সময় হাত সোজা ছেড়ে দেবে না বা পিছনের দিকে ঝাড়া দেবে না।
৬। উভয় হাত হাঁটুর উপর এমনভাবে রাখতে হবে যাতে আঙুলগুলো খোলা থাকে এবং দুই আঙ্গুলের মাঝখানে ফাঁক থাকে। এভাবে ডান হাত দ্বারা ডান হাঁটু এবং বাম হাত দ্বারা বাম হাঁটু শক্তভাবে ধরবে।
৭। রুকূকালীন সময়ে হাত ও বাহু সোজা থাকা চাই কোন অবস্থাতেই যেন বক্রতা না আসে। পাজড় থেকে বাহুকে পৃথক রাখবে।
৮। রুকূকালীন সময়ে দৃষ্টি উভয় পায়ের মধ্যবর্তী স্থানের ওপর রাখবে।
৯। রুকূতে স্থিরতার সাথে ততক্ষণ দেরী করবে, যাতে কমপক্ষে ৩ বার 'সুবহানা রাব্বিয়াল আজীম' পড়বে। সম্ভব হলে ৫, ৭ ও ৯ বার পড়া উত্তম।
১০। উভয় পায়ের ভারসাম্য সমান থাকবে এবং গোড়ালী দুইটি পাশাপাশি থাকবে। আগে পিছে নয়।
১। রুকু থেকে দাঁড়ানোর সময় এভাবে সোজা হবে যাতে শরীরে কোথাও বক্রতা না থাকে। হাত নিচের দিকে ছেড়ে সোজা রাখবে।
২। এ সময়ও দৃষ্টি সিজদাহর স্থানে রাখবে।
৩। অত্যন্ত সতর্কতার সাথে রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে সিজদাহে যেতে হবে।
১। প্রথমে হাঁটু বাঁকা করে জমিনের দিকে এমনভাবে নিয়ে যাবে যাতে সীনা ও মাথা আগে না ঝুঁকে। যখন হাঁটু মাটিতে লেগে যায় তখন সীনা ও মাথা ঝুঁকাতে হবে।
২। হাঁটু জমিনে ঠেকাবার আগ পর্যন্ত শরীরের উপরের অংশ সামনের দিকে ঝুঁকাবে না।
৩। সীনা সামনের দিকে না ঝুঁকার নিয়ম যেমন- সিজদাহে যাওয়ার সময় হাঁটুর উপর হাত দিয়ে ভর না দেয়া, এতে হাঁটু মাটিতে লাগার পূর্বে সীনা ও মাথা সামনের দিকে ঝুঁকে যায়।
২। সিজদাহে যাওয়ার সময় হাঁটুতে হাত রাখার কোন প্রমাণ নেই। তবে সিজদাহ থেকে উঠার সময় হাঁটুতে হাত রাখা মুস্তাহাব।
৩। হাঁটুর পর প্রথমে জমিনের উপর হাত, তারপর নাক, অতঃপর কপাল রাখবে।
২। সিজদাহে উভয় হাতের আঙুলগুলো পরস্পর মিলে থাকবে। আঙ্গুলের মাঝখানে যেন কোন ফাঁক না থাকে।
৩। সিজদাহে উভয় পায়ের গোড়ালী কাছাকাছি রাখবে মিলিয়ে রাখবে না এবং আঙ্গুলের মাথাগুলো কিবলামূখী থাকবে।
৪। উভয় হাতের কনুইদ্বয় জমিন থেকে উপরে থাকবে।
৫। উভয় বাহু বগল থেকে পৃথক রাখা চাই, বগল ও বাহু মিলিয়ে রাখবে না।
৬। কনুইদ্বয়কে এত দূরে রাখতে হবে যাতে পাশের নামাজীর কোন অসুবিধা না হয়।
৭। পেট ও রান আলাদা আলাদা রাখবে। পেট ও রান মিলিয়ে রাখবে না।
৮। সম্পূর্ণ সময় সিজদাহর মধ্যে নাক মাটির সাথে মিলিয়ে রাখবে। মাঝে মধ্যে তুলে ফেলা ঠিক নয় এবং নাকের অগ্রভাগে দৃষ্টি রাখতে হবে।
৯। উভয় পা এমনভাবে খাড়া রাখবে যেন পায়ের গোড়ালী উঁচু থাকে এবং আঙ্গুলগুলো মোড় দিয়ে কিবলামূখী থাকে।
১০। সিজদাহর সময় উভয় পা পূর্ণ সময় জমিনের সাথে লাগানো থাকবে। সিজদাহে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় পা মাটিতে না রাখলে সিজদাহ আদায় হয় না।
১১। সিজদাহে কমপক্ষে এতক্ষণ অবস্থান করবে যাতে কমপক্ষে ৩ বার 'সুবহানা রাব্বিয়াল আলা' পড়া যায়। সম্ভব হলে ৫, ৭ ও ৯ বার পড়া উত্তম।
২। বাম পা বিছিয়ে তার ওপর বসবে এবং ডান পা এভাবে খাড়া রাখবে যেন আঙ্গুলগুলো মুড়িয়ে কিবলার দিকে থাকে।
৩। বসা অবস্থায় উভয় হাত রানের অগ্রভাগে হাঁটুর সমানে রাখবে, আঙ্গুলগুলো যেন হাঁটুর উপর লটকানো না থাকে। আঙ্গুলগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় সামান্য ফাঁক থাকবে।
৪। বসা অবস্থায় দৃষ্টি নিজ কোলের মধ্যবর্তী স্থানের দিকে থাকবে।
২। দ্বিতীয় সিজদাহ ও প্রথম সিজদাহর মতই হবে।
৩। সিজদাহ থেকে উঠার সময় প্রথমে কপাল তারপর নাক তারপর হাত অতঃপর হাঁটু মাটি থেকে উঠবে।
৪। সিজদাহ থেকে উঠার সময় হাঁটুর উপর হাত ভর দিয়ে উঠবে। বসা ছাড়াই মাটিতে ভর না দিয়ে সরাসরি দাঁড়াবে। তবে শরীরের ওজনবৃদ্ধি বা রোগ-ব্যাধি অথবা বার্ধক্যের কারণে শরীর দুর্বল হলে মাটিতে ভর দেয়া যায়।
১। দুই সিজদাহর মাঝখানে বসার অনুরূপে দুই রাকাত পর বসবে। বসা অবস্থায় দৃষ্টি নিজ কোলের দিকে রাখবে।
২। তাশাহুদ পড়ার সময় 'লাইলাহা' বলার সময় তর্জনী তুলে ইশারা করবে, তর্জনীর মাথা যেন কিবলামূখী থাকে এবং ইল্লাল্লাহু বলার সময় আঙ্গুল নামিয়ে ফেলবে।
১। উভয়দিকে সালাম ফিরানোর সময় গর্দান এতটুকু ঘুরাবে যাতে পিছনে বসা ব্যক্তি যেন চোয়াল দেখতে পায়।
২। সালাম ফিরানোর সময় দৃষ্টি কাঁধের ওপর রাখবে।
২। দোয়া করার সময় হাত সীনা বরাবর তুলবে এবং হাতের তালু চেহারার দিকে রাখবে। দৃষ্টি দুই হাতের মধ্যখানে থাকবে।
১। মেয়েদের নামাজ আরম্ভ করার আগে মুখমন্ডল, হাত ও পা ব্যতীত সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে রাখতে হবে।
২। মেয়েদের জন্য ঘরের খোলা জায়গায় নামাজ পড়ার চেয়ে নির্জন কক্ষে নামাজ পড়া উত্তম এবং উঠানে বা বারান্দায় নামাজ পড়ার চেয়ে ঘরের ভিতরে নামাজ পড়া উত্তম।
৩। মেয়েরা উভয় পা মিলিয়ে দাঁড়াবে। বিশেষ করে উভয় গোড়ালী যেন কাছাকাছি মিলে যায়। দুই পায়ের মাঝখানে কোন ফাঁক থাকবে না।
৪। মেয়েদের তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় কান বরাবর হাত উঠাবে না বরং কাঁধ বরাবর হাত উঠাবে। আবার তাও হাত কাপড়ের ভিতর রেখে, কাপড় থেকে বের করে নয়।
৫। মেয়েরা পুরুষের মত নাভীর নীচে হাত বাঁধবে না বরং বুকের উপর শুধু বাম হাতের পিঠের উপর ডান হাতের তালু দ্বারা চেপে ধরবে।
৬। রুকূতে মেয়েদের পুরুষের মত কোমর সোজা রাখা প্রয়োজন নেই। মেয়েরা কম ঝুঁকবে।
৭। রুকূ অবস্থায় মেয়েরা হাঁটুর উপর আঙ্গুলগুলো মিলিয়ে রাখবে, যাতে আঙ্গুলের মাঝখানে ফাঁক না থাকে। শুধু হাঁটুর উপর হাত চেপে রাখবে, হাঁটুকে আকড়িয়ে ধরবে না।
৮। রুকূতে মেয়েরা পুরুষের মত পা গুলো সোজা রাখবে না বরং হাঁটু সামনের দিকে সামান্য ঝুঁকে রাখবে আর পিঠ সামান্য বাঁকা রাখবে।
৯। মেয়েরা রুকূ করার সময় নিজের বগল ও বাহু মিলিয়ে রাখবে পুরুষের মত বগল ও বাহু পৃথক থাকবে না।
১০। সিজদাহে যাওয়ার সময় পুরুষরা হাঁটু জমিনে ঠেকানোর আগে সীনা ঝুঁকবে না। কিন্তু মেয়েরা প্রথম থেকেই শরীর সামনে ঝুঁকাতে পারবে।
১১। মেয়েরা সিজদাহে রান পেটের সাথে এবং বাহু বগলের সাথে মিলিয়ে রাখবে এবং উভয় পা খাড়া করে রাখার পরিবর্তে ডানদিকে বাহির করে বিছিয়ে দেবে।
১২। পুরুষেরা সিজদাহ করার সময় হাত মাটি থেকে উপরে রাখবে কিন্তু মেয়েরা হাত মাটিতে বিছিয়ে রাখবে।
১৩। দুই সিজদাহর মধ্যবর্তী সময় ও আত্তাহিয়্যাতু পড়ার সময় উভয় পা ডানদিকে বের করে বাম নিতম্বের (পিছনের নিম্নাংশর) ওপর বসবে। উভয় পা ডানদিকে বের করে দিবে এবং ডান পায়ের নলা বাম পায়ের নলার ওপর রাখবে।
১৪। সর্বাস্থায় রুকু, সিজদাহ, বসা, সকল স্থানেই আঙ্গুলগুলো মিলিয়ে রাখবে, কোন অবস্থাতেই আঙ্গুলের মাঝে ফাঁক রাখবে না।
২। দোয়া করার সময় হাত সীনা বরাবর তুলবে এবং হাতের তালু চেহারার দিকে রাখবে। দৃষ্টি দুই হাতের মধ্যখানে থাকবে।
২। এ সময়ও দৃষ্টি সিজদাহর স্থানে রাখবে।
৩। অত্যন্ত সতর্কতার সাথে রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে সিজদাহে যেতে হবে।
৫ম ফরজঃ সিজদাহ করা
৫ম ফরজঃ সিজদাহ করা। সিজদাহে যাওয়ার সময়ঃ১। প্রথমে হাঁটু বাঁকা করে জমিনের দিকে এমনভাবে নিয়ে যাবে যাতে সীনা ও মাথা আগে না ঝুঁকে। যখন হাঁটু মাটিতে লেগে যায় তখন সীনা ও মাথা ঝুঁকাতে হবে।
২। হাঁটু জমিনে ঠেকাবার আগ পর্যন্ত শরীরের উপরের অংশ সামনের দিকে ঝুঁকাবে না।
৩। সীনা সামনের দিকে না ঝুঁকার নিয়ম যেমন- সিজদাহে যাওয়ার সময় হাঁটুর উপর হাত দিয়ে ভর না দেয়া, এতে হাঁটু মাটিতে লাগার পূর্বে সীনা ও মাথা সামনের দিকে ঝুঁকে যায়।
মাথা ও সীনা না ঝুঁকানোর কারণ
১। সিজদাহে যাওয়ার সময় হাঁটু মাটিতে লাগার পূর্বে নিজ কোমর, বুক তথা শরীরের উপরিভাগ সম্পূর্ণ সোজা রাখতে হবে।২। সিজদাহে যাওয়ার সময় হাঁটুতে হাত রাখার কোন প্রমাণ নেই। তবে সিজদাহ থেকে উঠার সময় হাঁটুতে হাত রাখা মুস্তাহাব।
৩। হাঁটুর পর প্রথমে জমিনের উপর হাত, তারপর নাক, অতঃপর কপাল রাখবে।
সিজদাহ অবস্থায়
১। সিজদাহতে মাথা উভয় হাতের মাঝখানে এমনভাবে রাখবে, যাতে উভয় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলীর মাথা কান বরাবর হয়। উভয় হাতের মাঝে চেহারার আকার পরিমাণ ফাঁক রাখবে।২। সিজদাহে উভয় হাতের আঙুলগুলো পরস্পর মিলে থাকবে। আঙ্গুলের মাঝখানে যেন কোন ফাঁক না থাকে।
৩। সিজদাহে উভয় পায়ের গোড়ালী কাছাকাছি রাখবে মিলিয়ে রাখবে না এবং আঙ্গুলের মাথাগুলো কিবলামূখী থাকবে।
৪। উভয় হাতের কনুইদ্বয় জমিন থেকে উপরে থাকবে।
৫। উভয় বাহু বগল থেকে পৃথক রাখা চাই, বগল ও বাহু মিলিয়ে রাখবে না।
৬। কনুইদ্বয়কে এত দূরে রাখতে হবে যাতে পাশের নামাজীর কোন অসুবিধা না হয়।
৭। পেট ও রান আলাদা আলাদা রাখবে। পেট ও রান মিলিয়ে রাখবে না।
৮। সম্পূর্ণ সময় সিজদাহর মধ্যে নাক মাটির সাথে মিলিয়ে রাখবে। মাঝে মধ্যে তুলে ফেলা ঠিক নয় এবং নাকের অগ্রভাগে দৃষ্টি রাখতে হবে।
৯। উভয় পা এমনভাবে খাড়া রাখবে যেন পায়ের গোড়ালী উঁচু থাকে এবং আঙ্গুলগুলো মোড় দিয়ে কিবলামূখী থাকে।
১০। সিজদাহর সময় উভয় পা পূর্ণ সময় জমিনের সাথে লাগানো থাকবে। সিজদাহে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় পা মাটিতে না রাখলে সিজদাহ আদায় হয় না।
১১। সিজদাহে কমপক্ষে এতক্ষণ অবস্থান করবে যাতে কমপক্ষে ৩ বার 'সুবহানা রাব্বিয়াল আলা' পড়া যায়। সম্ভব হলে ৫, ৭ ও ৯ বার পড়া উত্তম।
দুই সিজদাহর মধ্যখানে
১। প্রথম সিজদাহ থেকে উঠে ধীরস্থিতার সাথে দোজানু হয়ে সোজা বসবে। অতঃপর দ্বিতীয় সিজদাহ করবে।২। বাম পা বিছিয়ে তার ওপর বসবে এবং ডান পা এভাবে খাড়া রাখবে যেন আঙ্গুলগুলো মুড়িয়ে কিবলার দিকে থাকে।
৩। বসা অবস্থায় উভয় হাত রানের অগ্রভাগে হাঁটুর সমানে রাখবে, আঙ্গুলগুলো যেন হাঁটুর উপর লটকানো না থাকে। আঙ্গুলগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় সামান্য ফাঁক থাকবে।
৪। বসা অবস্থায় দৃষ্টি নিজ কোলের মধ্যবর্তী স্থানের দিকে থাকবে।
আরো পড়ুন : সাতটি কালিমার আরবী ও বাংলা উচ্চারণ এবং তার অর্থ।
দ্বিতীয় সিজদাহ থেকে উঠা
১। দ্বিতীয় সিজদাহেও এভাবে যেমন প্রথমে উভয় হাত তারপর নাক অতঃপর কপাল মাটিতে রাখবে।২। দ্বিতীয় সিজদাহ ও প্রথম সিজদাহর মতই হবে।
৩। সিজদাহ থেকে উঠার সময় প্রথমে কপাল তারপর নাক তারপর হাত অতঃপর হাঁটু মাটি থেকে উঠবে।
৪। সিজদাহ থেকে উঠার সময় হাঁটুর উপর হাত ভর দিয়ে উঠবে। বসা ছাড়াই মাটিতে ভর না দিয়ে সরাসরি দাঁড়াবে। তবে শরীরের ওজনবৃদ্ধি বা রোগ-ব্যাধি অথবা বার্ধক্যের কারণে শরীর দুর্বল হলে মাটিতে ভর দেয়া যায়।
৬ষ্ঠ ফরজঃ শেষ বৈঠক করা
৬ষ্ঠ ফরজঃ শেষ বৈঠক করা। বসা অবস্থায়ঃ১। দুই সিজদাহর মাঝখানে বসার অনুরূপে দুই রাকাত পর বসবে। বসা অবস্থায় দৃষ্টি নিজ কোলের দিকে রাখবে।
২। তাশাহুদ পড়ার সময় 'লাইলাহা' বলার সময় তর্জনী তুলে ইশারা করবে, তর্জনীর মাথা যেন কিবলামূখী থাকে এবং ইল্লাল্লাহু বলার সময় আঙ্গুল নামিয়ে ফেলবে।
৭ম ফরজঃ নামাজ হতে বাহির হওয়া
৭ম ফরজঃ নামাজ হতে বাহির হওয়া। সালাম ফিরানোর সময়ঃ১। উভয়দিকে সালাম ফিরানোর সময় গর্দান এতটুকু ঘুরাবে যাতে পিছনে বসা ব্যক্তি যেন চোয়াল দেখতে পায়।
২। সালাম ফিরানোর সময় দৃষ্টি কাঁধের ওপর রাখবে।
মোনাজাতের সময়
১। দোয়া করার সময় উভয় হাতের মাঝখানে সামান্য ফাঁক থাকবে। আঙ্গুলগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফাঁক থাকবে।২। দোয়া করার সময় হাত সীনা বরাবর তুলবে এবং হাতের তালু চেহারার দিকে রাখবে। দৃষ্টি দুই হাতের মধ্যখানে থাকবে।
নামাজ শিক্ষা (নারী)
তাকবীরে তাহরীমা, রুকু, সিজদাহ, শেষ বৈঠক
বিশেষ বিশেষ স্খলে পুরুষ ও মেয়েদের নামাজের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। নিম্নে মেয়েদের নামাজ সম্পর্কে চিত্রসহকারে বর্ণনা করা হয়েছে।১। মেয়েদের নামাজ আরম্ভ করার আগে মুখমন্ডল, হাত ও পা ব্যতীত সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে রাখতে হবে।
২। মেয়েদের জন্য ঘরের খোলা জায়গায় নামাজ পড়ার চেয়ে নির্জন কক্ষে নামাজ পড়া উত্তম এবং উঠানে বা বারান্দায় নামাজ পড়ার চেয়ে ঘরের ভিতরে নামাজ পড়া উত্তম।
৩। মেয়েরা উভয় পা মিলিয়ে দাঁড়াবে। বিশেষ করে উভয় গোড়ালী যেন কাছাকাছি মিলে যায়। দুই পায়ের মাঝখানে কোন ফাঁক থাকবে না।
৪। মেয়েদের তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় কান বরাবর হাত উঠাবে না বরং কাঁধ বরাবর হাত উঠাবে। আবার তাও হাত কাপড়ের ভিতর রেখে, কাপড় থেকে বের করে নয়।
৫। মেয়েরা পুরুষের মত নাভীর নীচে হাত বাঁধবে না বরং বুকের উপর শুধু বাম হাতের পিঠের উপর ডান হাতের তালু দ্বারা চেপে ধরবে।
৬। রুকূতে মেয়েদের পুরুষের মত কোমর সোজা রাখা প্রয়োজন নেই। মেয়েরা কম ঝুঁকবে।
৭। রুকূ অবস্থায় মেয়েরা হাঁটুর উপর আঙ্গুলগুলো মিলিয়ে রাখবে, যাতে আঙ্গুলের মাঝখানে ফাঁক না থাকে। শুধু হাঁটুর উপর হাত চেপে রাখবে, হাঁটুকে আকড়িয়ে ধরবে না।
৮। রুকূতে মেয়েরা পুরুষের মত পা গুলো সোজা রাখবে না বরং হাঁটু সামনের দিকে সামান্য ঝুঁকে রাখবে আর পিঠ সামান্য বাঁকা রাখবে।
৯। মেয়েরা রুকূ করার সময় নিজের বগল ও বাহু মিলিয়ে রাখবে পুরুষের মত বগল ও বাহু পৃথক থাকবে না।
১০। সিজদাহে যাওয়ার সময় পুরুষরা হাঁটু জমিনে ঠেকানোর আগে সীনা ঝুঁকবে না। কিন্তু মেয়েরা প্রথম থেকেই শরীর সামনে ঝুঁকাতে পারবে।
১১। মেয়েরা সিজদাহে রান পেটের সাথে এবং বাহু বগলের সাথে মিলিয়ে রাখবে এবং উভয় পা খাড়া করে রাখার পরিবর্তে ডানদিকে বাহির করে বিছিয়ে দেবে।
১২। পুরুষেরা সিজদাহ করার সময় হাত মাটি থেকে উপরে রাখবে কিন্তু মেয়েরা হাত মাটিতে বিছিয়ে রাখবে।
১৩। দুই সিজদাহর মধ্যবর্তী সময় ও আত্তাহিয়্যাতু পড়ার সময় উভয় পা ডানদিকে বের করে বাম নিতম্বের (পিছনের নিম্নাংশর) ওপর বসবে। উভয় পা ডানদিকে বের করে দিবে এবং ডান পায়ের নলা বাম পায়ের নলার ওপর রাখবে।
১৪। সর্বাস্থায় রুকু, সিজদাহ, বসা, সকল স্থানেই আঙ্গুলগুলো মিলিয়ে রাখবে, কোন অবস্থাতেই আঙ্গুলের মাঝে ফাঁক রাখবে না।
মোনাজাতের সময়
১। দোয়া করার সময় উভয় হাতের মাঝখানে ফাঁক থাকবে না। আঙ্গুলগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় থাকবে।২। দোয়া করার সময় হাত সীনা বরাবর তুলবে এবং হাতের তালু চেহারার দিকে রাখবে। দৃষ্টি দুই হাতের মধ্যখানে থাকবে।
শেষ কথা ➡️ আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে শিখতে পারলাম, নারী ও পুরুষের সহীহ নামাজ শিক্ষা চিত্রসহ। এই নিয়ম কানুন মেনে চলুন তাহলে আপনার নামাজ সহীহ হবে। আপনার মতামত এবং প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত মূল্যবান এবং আমরা সব সময় তাদের স্বাগত জানাই। এই রকম আরো পোস্ট চাইলে কমেন্ট করে আমাদের জানান। আবার আপনার সাথে দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে। ধন্যবাদ।
আমার জীবন বিডিতে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url