হঠাৎ দাঁত ব্যথা হলে করণীয় কী কী - দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট
হঠাৎ দাঁত ব্যথা হলে করণীয় কী কী ? তা আমাদেরকে জেনে রাখা উচিত। কারণ, দাঁত ব্যথা বলে আসে না। হঠাৎ যদি দাঁতে ব্যথা শুরু হয়ে যায়, দিশেহারা হয়ে আমরা ওষুধের খোঁজ করতে থাকি ।
কিন্তু কিছু উপায় জানা থাকলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই দাঁত ব্যথার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
চলুন জেনে নিই , সেই সব জাদুকরি টিপস........
আরো পড়ুন : পেটে ব্যথা কমানোর উপায়
হঠাৎ দাঁত ব্যথা হলে করণীয় কী কী ?
- দুটি লবঙ্গ থেঁতো করে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে দাঁতে লাগান। অথবা দুটি লবঙ্গ চিবিয়ে ব্যথার স্থানে জিভ দিয়ে চেপে রাখুন।
- এক কোয়া রসুন থেঁতলে নিয়ে অল্প একটু লবণ মিশিয়ে দাঁতে লাগান। বেশি যন্ত্রণা হলে এক কোয়া রসুন চিবিয়ে খান।
- লবণের সঙ্গে গোলমরিচ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। দাঁতে লাগিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট।
- ব্যথা কমে গেলেও কয়েকদিন এটা করুন।
- এক টুকরা কাঁচা পেঁয়াজ চিবিয়ে খেয়ে নিন।
- যদি বেশি ঝাঁঝ লাগে তবে দাঁতের ওপর পেঁয়াজ চেপে রাখলে আরাম পাওয়া যাবে।
- আধ চা চামচ হিং গুঁড়ো দুই টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে দাঁতে লাগান। দু মিনিটেই ব্যথা শেষ হয়ে যাবে।
- দাঁত, মাড়ি, গলার ব্যথা কমাতে খুব ভাল কাজ করে লবণ পানি। এক গ্লাস অল্প গরম পানিতে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করুন।
- পেয়ারা পাতা দাঁত ব্যথায় দারুণ উপকারী। দুটি পেয়ারা পাতা চিবিয়ে ব্যথাওয়ালা দাঁতে চেপে রাখুন। আরাম পাবেন।
- তুলায় কয়েক ফোঁটা ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট নিয়ে দাঁতে চেপে ধরে রাখুন, ব্যথা নিরাময় হবে।
- দূর্বা ঘাসের রস দাঁতের ব্যথা কমাতে পারে। এটা দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সহায়তা করে।
- সবশেষ উপায় হলো বরফ। হাতের কাছে কোনো কিছু না পেলেও যদি শুধু বরফ পাওয়া যায়, তবে কাজ হবে। এক টুকরা বরফ তুলা বা কাপড়ে মুড়ে দাঁতে চেপে রাখুন, ব্যথা কমতে থাকবে।
- কুসুম গরম লবণ পানি দিয়ে ৪০ সেকেন্ড থেকে এক মিনিট ধরে কুলকুচি করতে হবে দিনে তিন-চারবার।
- লবণমিশ্রিত পেস্ট বা বাসায় ব্যবহৃত পেস্টও দাঁতের গায়ে লাগালে ব্যথামুক্ত হতে পারেন। এটা দুই-তিন মিনিট দাঁতের গায়ে লাগিয়ে রাখতে হবে।
- লবণে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল থাকায় ব্যথামুক্ত করতে সাহায্য করে।
- তবে মনে রাখতে হবে, স্থায়ীভাবে ব্যথা কমানোর জন্য অবশ্যই নিকটস্থ বিডিএস বা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অবশ্যই দেখাতে হবে।
আরো পড়ুন : ওজন বাড়ানোর ডায়েট চার্ট - ওজন বাড়ানোর উপায়
দাঁতের ব্যথা এড়াতে কী করবেন?
প্রথমেই দন্তরোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে হবে। আর তাই—- রাতে ঘুমানোর আগে ও সকালে নাশতা করার পর নিয়মিত দুই বেলা ব্রাশ করতে হবে। অন্তত রাতে একবার ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করতে হবে।
- মিষ্টি বা আঠালো খাবার খেলে সঙ্গে সঙ্গে বেশি করে পানি পান করতে হবে।
- ধূমপান, অ্যালকোহল, কোমল পানীয়, পান, জর্দা, সাদা পাতা, গুল বন্ধ করতে হবে।
- ভাজাপোড়াজাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে।
দাঁত ব্যথা কমানোর জাদুকরি উপায়
চলুন জেনে রাখি সেইসব জাদুকরি টোটকা-
- দুটি লবঙ্গ থেঁতো করে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে দাঁতে লাগান। অথবা দুটি লবঙ্গ চিবিয়ে ব্যথার স্থানে জিভ দিয়ে চেপে রাখুন।
- এক কোয়া রসুন থেঁতলে নিয়ে অল্প একটু লবণ মিশিয়ে দাঁতে লাগান। বেশি যন্ত্রণা হলে এক কোয়া রসুন চিবিয়ে খান।
- লবণের সঙ্গে গোলমরিচ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। দাঁতে লাগিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট। ব্যথা কমে গেলেও কয়েকদিন এটা করুন।
- এক টুকরা কাঁচা পেঁয়াজ চিবিয়ে খেয়ে নিন। যদি বেশি ঝাঁঝ লাগে তবে দাঁতের ওপর পেঁয়াজ চেপে রাখলে আরাম পাওয়া যাবে।
- আধ চা চামচ হিং গুঁড়ো দুই টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে দাঁতে লাগান। দু মিনিটেই ব্যথা শেষ।
- দাঁত, মাড়ি, গলার ব্যথা কমাতে খুব ভাল কাজ করে লবণ পানি। এক গ্লাস অল্প গরম পানিতে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করুন।
- পেয়ারা পাতা দাঁত ব্যথায় দারুণ উপকারী। দুটি পেয়ারা পাতা চিবিয়ে ব্যথাওয়ালা দাঁতে চেপে রাখুন। আরাম পাবেন।
- তুলায় কয়েক ফোঁটা ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট নিয়ে দাঁতে চেপে ধরে রাখুন।
- দূর্বা ঘাসের রস দাঁতের ব্যথা কমাতে পারে। এটা দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সহায়তা করে।
- সবশেষ উপায় হলো বরফ। হাতের কাছে কোনো কিছু না পেলেও যদি শুধু বরফ পাওয়া যায়, তবে কাজ হবে। এক টুকরা বরফ তুলা বা কাপড়ে মুড়ে দাঁতে চেপে রাখুন, ব্যথা কমতে থাকবে।
দাঁতে তীব্র ব্যথা হলে কী করবেন
দাঁতের ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। শীতে ঠাণ্ডার কারণে শরীরে বিভিন্ন ধরনের ব্যথা বাড়ে। এ সময় ঠাণ্ডার কারণে অনেকের দাঁতের ব্যথাও হয়ে থাকে।ব্যথা তীব্র হওয়ার কারণ
- দাঁতে কোনো গর্ত বা ক্যারিজ হলে, দাঁতের ফিলিং খুলে গেলে, দাঁত ভেঙে গেলে, দাঁতের শ্বাস বা পালপ যে কোনো কারণেই আক্রান্ত হলে, মাড়ির প্রদাহের কারণে ও দাঁতের পালপ আক্রান্ত হলে।
- গরম বা ঠাণ্ডা খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পর্যন্ত দাঁতের ব্যথা স্থায়ী হলে ধারণা করা যায় দাঁতের পালপ বা শ্বাস আক্রান্ত হয়েছে।
- এ ক্ষেত্রে স্নায়ু নষ্ট হতে ১২ ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে ১২ ঘণ্টা পর ব্যথা কমে যায়। আবার ব্যথা শুরু হলে বুঝতে হবে নষ্ট কোষ আবার সংক্রমিত হয়েছে বা পুঁজ তৈরি হয়েছে।
দাঁত ব্যথার সময় কী কী করবেন
- ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ টেবিল চামুচ লবণ মিশিয়ে মুখে নিয়ে ১ মিনিট রাখুন। এভাবে দিনে ৩ বার করে গুলি করুন ব্যথা কমে যায়।
- এ ছাড়াও ১ টেবিল চামুচ লবণ অল্প সরিষার তেলের সঙ্গে অথবা লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মাড়িতে ম্যাসাজ করুন কয়েক মিনিট। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে কুলি করে নিন। এভাবে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হবে।
- লবণে অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে। এটি মুখের ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ব্যাহত করে প্রদাহ কমায়।
- ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়ার আগে- ভরা পেটে দুটি অ্যাসপিরিন বা একটি আইবুপ্রুফেন ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে, ক্লোভ ওয়েল/লবণ তেল দাঁতে মাজা যেতে পারে।
- মাড়িতে লাগলে মাড়ি জ্বালা করবে। এটি দাঁতের স্নায়ু অবস করে সাময়িকভাবে ব্যথা কমায়।
- ব্যথাযুক্ত দাঁতে বরফ কুচি কাপড়ে পেঁচিয়ে রাখা যেতে পারে, গরম পানি দিয়ে কুলকুচি দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণা সরিয়ে ব্যথা কমাবে।
- দাঁতের ব্যথার জন্য যত শিগগিরই ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়া যায় ততই মঙ্গল।
আরো পড়ুন :৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়
দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট
দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেটের নাম বিভিন্ন পণ্যের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে এবং তা সাধারণত বিভিন্ন ব্রান্ডের অধীনে উপলব্ধ থাকে। কিছু সাধারণ ডাইটারি সাপ্লিমেন্ট পণ্য যেমন ফ্লোরাইড ট্যাবলেট, ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট, তারা দাঁতের ব্যাথার মূল কারণের সাথে লড়াইতে সাহায্য করতে পারে। তবে, যেকোনো পণ্য ব্যবহার করতে আগে আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।দাঁতের ব্যাথা কোন সাধারণ সমস্যা নয়। যেকোনো সময়ে আপনি এই অসুখে পড়তে পারেন, যেখানে এটি প্রায় অসুখের কারণ হতে পারে। ব্যক্তিগত সাধারণ স্বাস্থ্যের পরিপ্রেক্ষিতে অসুখ না হলেও, এই ব্যাথার আপনার দিনটি অসুখের করে তুলতে পারে। তবে, সুবিধা পাওয়া যায় যেভাবে সঠিক ট্যাবলেট ব্যবহার করে।
দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট ব্যবহার করতে গিয়ে কিছু প্রধান বিষয় গুলোর পরিবর্তন প্রয়োজন হতে পারে। প্রথমেই, সঠিক ট্যাবলেট পরামর্শ এবং পরামর্শের অনুসরণ করা উচিত। এরা দাঁতের ব্যাথার মূল কারণের উপর কাজ করে এবং সাধারণত ব্যথার মার্জনের জন্য সাহায্য করে। এছাড়াও, যদি দাঁতের ব্যাথা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই চলে, তবে দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট ব্যবহার করা উচিত নয়।
ট্যাবলেট প্রয়োজনে সঠিক পরিমাপের জন্য আপনার চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করতে পারেন। আপনি আপনার দাঁতের ব্যাথার ধরণের অবস্থা সম্পর্কে আপনার চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ট্যাবলেট প্রয়োজনের মাত্রা নির্ধারণ করতে পারেন।
সঠিক ট্যাবলেট ব্যবহারের পাশাপাশি, দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত দাঁতের পরীক্ষা, স্বাস্থ্যকর খাবার সংগ্রহ, ওয়াটার ফ্লোস ও ফ্লসিং ব্রাশ ব্যবহার এবং নিয়মিত দাঁতের পরিস্কারতা মূলত গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট।
দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট ব্যবহার করা সঠিক পদক্ষেপ হতে পারে, কিন্তু এটি কেবলমাত্র একটি অংশ। আপনার চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে, সে আপনাকে সঠিক ট্যাবলেট নির্ধারণ করতে সাহায্য করতে পারেন। আপনি যদি প্রাথমিক সাহায্যের জন্য চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ না করতে চান, তবে অনেক সাধারণ ট্যাবলেট এই সমস্যার জন্য প্রয়োজনীয় হতে পারে।
তবে, মনে রাখবেন যে, দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট কেবল একটি সরঞ্জাম এবং এটি আপনার সমস্যার মূল কারণের পরিষ্কারতা করতে সাহায্য করতে পারে, তবে এটি বিশেষভাবে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন যখন সঠিক চিকিৎসা সাধারণত প্রয়োজন হয়। সঠিক ট্যাবলেট ব্যবহার করতে গিয়ে, সাবধানে সামগ্রিক চিকিৎসা পরামর্শ অনুসরণ করুন, এটি আপনার দাঁতের ব্যাথা এবং সাধারণ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে।
শেষ কথা ➡️ এই পোস্টে আমরা আপনাদের কে হঠাৎ দাঁত ব্যথা হলে করণীয় কী কী! এবং দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট এর নাম বলেছি যাতে আপনার দাঁতের ব্যথা ভালো হয়ে যায়। আপনার মতামত এবং প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত মূল্যবান এবং আমরা সব সময় তাদের স্বাগত জানাই। এই রকম আরো পোস্ট চাইলে কমেন্ট করে আমাদের জানান। আবার আপনার সাথে দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে। ধন্যবাদ।
আমার জীবন বিডিতে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url