কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - কলা খাওয়ার নিয়ম

কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি তা এই পোস্ট পড়ে জানতে পারবেন। কলা আমাদের পরিবারের প্রিয় ফলের মধ্যে একটি যা অনেক স্বাস্থ্যগত উপকারিতা আছে এবং সহজলভ্য। 

কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - কলা খাওয়ার নিয়ম

কলার খাবার দ্বারা আমরা কয়েকটি অসাধারণ স্বাস্থ্যগত উপকারিতা অর্জন করতে পারি, যা নিম্নে তালিকাবদ্ধ করা হলো...........


কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কলা এমন একটি ফল যা সারা বছরই পাওয়া যায়। আর এর পুষ্টিগুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। ছোট বড় সবাই কলা খেতে পারবে অনায়াসে। এটা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং হজম ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

কলা খাওয়ার উপকারিতা :

1. ভিটামিন ও খাঁটি যোগদান: কলাতে ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম অধিক পরিমাণে থাকে, যা হৃদরোগের জন্য খুবই ভাল।

2. পেটে অবশিষ্ট খাদ্যের উপচিত: কলাতে অনেক প্রাকৃতিক ফাইবার আছে যা পেটের অবশিষ্ট খাদ্যের উপচিতে সাহায্য করে।

3. প্রতিরক্ষা প্রণালীর সঠিক প্রতিস্থাপন: কলা খাওয়াতে ক্যারোটিনও থাকে যা স্বাস্থ্যগত চোখ ও প্রতিরক্ষা প্রণালীর জন্য ভাল।

4. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা: কলাতে কোলেস্টেরল ও লেভুলিন অনেক কম থাকে, যা হৃদরোগের জন্য ভাল।

5. হেমোগ্লোবিন উন্নতি: কলাতে আমিনো অ্যাসিড ও ফোলেট এসিডের অধিক পরিমাণ থাকা থেকে হেমোগ্লোবিন উন্নতি হতে পারে।

6. শক্তির ডিপো: আপনার দ্রুত শক্তি চান? তাহলে ঝটপট ২টি পাকা কলা খেয়ে ফেলুন এটি নিমিষেই আপনাকে শক্তি সাপ্লাই করতে শুরু করবে।
কারন করায় আছে প্রচুর গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ এগুলো হজম করার দরকার নেই শুধু রক্তে মিশে যায়। আবার এতে যে ডায়াটরি ফাইবার আছে তা সুপার ফাস্ট গতিতে হজম হয়ে আরও গ্লুকোজ তৈরিকরে যা প্রচুর শক্তির যোগান দেয়।

7. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে কলার কারিকুরি: রক্তে সুগার বেশি থাকে। আপনি মিষ্টি বা শর্করা জাতীয় খাবার খেলে তা দ্রুত হজম হয়ে রক্তে মিশে যায় এবং শর্করার পরিমাণ আরো বৃদ্ধি করে। এতে করে ডায়াবেটিস বাড়ে। কম পাকা কলায় যে শর্করা থাকে তা রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ এটি সহজে হজম হয় না।এটি অল্প করে হজম হয় আর রক্তে মেশে ফলে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে।

8. কলা হার্ট ভালো রাখে: কলাতে আছে প্রচুর পটাশিয়াম এটি হার্টের পেশিগুলোকে তাজা রাখে। হার্ট এটাকের ঝুঁকি কমায়। মস্তিষ্কের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে হ্রাস করে।ব্লাড প্রেসার কমাতে কলা অত্যন্ত উপকারী।

9. কিডনি সুস্থ রাখে:
কলার পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম কিনডির কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা যায় যেসব ব্যক্তি প্রতিদিন কলা খান তাদের কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৪০ ভাগ কম। কিডনি পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে এটি। মূত্রতন্ত্রের ইনফেকশন কমাতে এর অবদান আছে।

10. আলসার ভালো করে কলা: পেটে আলসার হলে কলা খান। কলার মিউসিলেজ পাকস্থলীর ভেতরের প্রাচিরে ক্ষতিগ্রস্ত মিউকাস পর্দাকে সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। কলার ফাইবার গ্যাস্ট্রিক হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।

11. হজমে কলার কেরামতি: চর্বি জাতীয় খবার গ্রহন করার ৩০ মিনিট পর একটি পাকা কলা খেলে দ্রুত চর্বি হজম হয়ে যায়। চর্বির ক্ষতিকর অংশ খুব সহজে পরিপাক হয় কলার কারণে।কলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি হজমে সহায়তা করে। কলায় থাকে পেকটিন নামক একটি ফাইবার। যা কোষ্টকাঠিন্যের মতো সমস্যার দূরে রাখতে সাহায্য করে।

12. ভিটামিনের আধার: কলাতে A to Z ভিটামিন আছে। চিন্তা করুন, শুধু কলা খেলেই আপনি সব ভিটামিন পাবেন। বাজার থেকে কোন ভিটামিনের কৌটা কিনতে হবে না। এতে থাকা পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি ও সি শরীরের জন্য দারুণ উপকারী।

13. তারুণ্য ধরে রাখে কলা: কলার ভিটামিন ও অন্যান্য উপাদান কোষকে অকালে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। ত্বকের কোষে পানির পরিমান বৃদ্ধি করে কলা তাই ত্বকের লাবণ্যতা বজায় থাকে। এর ভিটামিন ই যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে।কলার ম্যাগনেসিয়াম ত্বকের কোলাজেন গঠনে সহায়তা করে এবং ত্বককে ফ্রিরেডিকেলজনিত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।


14. ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় কলা: বেশি পাকা কলাতে TNF-A নামক এক ধরণের যৌগ আছে, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শ্বেত রক্ত কণিকার পরিমাণ বাড়ায়। এতে করে ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

15. মানসিক চাপ কমায়: ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো এসিড কলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, এটি রক্তে মিশে যাওয়ার পর রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে সেরাটোনিনে রূপান্তর হয়।আনন্দদায়ক অনুভূতি সৃষ্টির জন্য সেরাটোনিন কাজ করে। সেরাটোনিনের সঠিক মাত্রা আপনার মন ভালো রাখবে এবং মানসিক চাপ কমাবে।মনতো ফুরফুরা তাইলে ভালো ঘুম তো এমনি হবে।এর মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম- যা বিষণ্ণতা রোধে কাজ করে।

16. রক্ত বৃদ্ধি করে : কলাতে ভিটামিন বি-৬ থাকে এটি রক্তের লোহিত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি করে। এর ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করে ফলে হাড় থেকে রক্ত কণিকা ভালো মাত্রায় উৎপন্ন হয় এবং রক্ত স্বল্পতা কমায়।

17. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: কলায় প্রচুর ক্যারোটিনয়েড নামক এন্টি অক্সিডেন্ট আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। এর ভিটামিন ই প্রজনন স্বাস্থ্য ভালো করে। ভিটামিন এ কলায় প্রচুর আছে ফলে এটি আপনার চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করবে।

18. স্মৃতিশক্তি বাড়ায় কলা : প্রতিদিন একটি করে কলা খেলে আপনার মস্তিষ্কের স্মৃতিভাণ্ডার শক্তিশালি হবে মানে আপনার স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পাবে। এর বিভিন্ন উপাদান মগজের প্রয়োজনীয় খাদ্যের জোগান দেয়।

19. ওজন বাড়াতে ও কমাতে কলার ভেলকি:একদম পাকা কলা ২টি ও ঘন দুধ ২৫০ মিলি রোজ খেলে দেহের ওজন বাড়ে। আবার একটু কম পাকা কলা ২-৩ কয়েক মিনিট পরপর খেলে পেট ভরে যায় ক্ষুধা কম লাগে তাই ওজন কমে যায়। ওজন কমানোর জন্য বেশি পাকা কলা না খেয়ে একটু কম পাকা কলা খান। কম পাকা কলাতে রেসিস্ট্যান্স স্টার্চ পাওয়া যায় বেশি।এটি ওজন কমাতে সাহায্য করবে কিন্তু শক্তি বাড়াবে।

কলা খাওয়ার অপকারিতা :

ম্যালা উপকারের কথা শুনে যদি সমানে হালি হালি কলা সাবার করেন তাহলে কিন্তু সমস্যা আছে মশাই। উপকারের পাশাপাশি কলার অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হবে।
  1. খালিপেটে কলা খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যাবে।
  2. বেশি মাত্রায় কলা খেলে শরীরে উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেশিয়ামের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয় ফলে হার্টের রোগ হতে পারে।
  3. যাদের দেহের পটাসিয়াম লেভেল বেশি তাদের কলার অপকারিতা ভালো করে জানা উচিৎ কারণ কলার পটাশিয়াম দেহের পটাশিয়াম লেভেল কে আরো বৃদ্ধি করবে এতে হাইপারক্যালিমিয়া রোগ হবে। এরফলে কিডনি জটিলতা,পেশির খিঁচুনি, মাথা ঘোরা,হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন অনিয়মিত হওয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  4. যাঁদের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা আছে বেশি মাত্রায় কলা খেলে তা বেড়ে যেতে পারে।
  5. আপনি চরম লেভেলের ডায়াবেটিকস রোগী হলে একদম পাকা কলা খাবেন না। এটি আপনার সুগার লেভেল বিপদ মাত্রা অতিক্রম করে দেবে।
  6. মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে কলা না খেলেই ভালো হয়। কলাতে টাইরামাইন নামক এক ধরনের উপাদান থাকে যা মাইগ্রেনের অন্যতম কারণ।

কোন কলা বেশি উপকারি?

বীজহীন সকল জাতের কলাই প্রায় সমান উপকারি তবে কিছু কলার বিশেষ কিছু উপকারিতা আছে। বিচি কলা বা সবরি কলা বা এটে কলার ঔষধি উপকারিতা আছে। বিবরণ থেকে জেনে নেই কোন কলা বেশি উপকারি…..

কাঁঠালি কলার উপকারিতা
স্বাবাবিক মাথাব্যথা ও বাতের ব্যথার প্রাকৃতিক নিরাময় হিসেবে কাজ করে। ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে।কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

চাপা কলা বা চম্পা কলার উপকারিতা
এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকায় পেট পরিষ্কার করতে সহায়তা করে।মস্তিষ্ক সতেজ রাখে ও মানসিক কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে।

সিঙ্গাপুরী কলার উপকারিতা
এই সিঙ্গাপুরী কলা আয়রনে ভরপুর ফলে এটি রক্তস্বল্পতা দূর করে। দেহে পানির শোষণ বৃদ্ধি করে।

বিচি কলা বা আঁটিয়া কলার উপকারিতা
বীজহীন কলা খেতে খেতে আমাদের সবরই ভালো লাগে কিন্তু বিচি কলা দেখলেই গা গুলায়। বিচি কলা বা এটে কলার ঔষধি গুণ জানলে আপনি আজ থেকেই খাওয়া শুরু করবেন। বিচি কলার,সপরি কলা,এটে কলার অনেক ঔষধি গুণ আছে। এসব বীজ ওয়ালা কলায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, নাইট্রোজেন এবং ফসফরাস থাকে, যা শরীরে স্বাস্থ্যকর টিস্যু গঠনে কাজ করে। বিচি কলার ফুলের রস ব্রংকাইটিস, আমাশয় এবং আলসার ভালো করে, রান্নাকরা ফুল ডায়বেটিস এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। গাছের কষযুক্ত রস হিস্টেরিয়া, কুষ্ঠ, জ্বর, রক্তক্ষরণ বন্ধ, স্থায়ী আমাশয় এবং ডায়রিয়া রোগে ব্যবহৃত হয়। গাছের শিকড় পরিপাকজনিত সমস্যা এবং আমাশয়ে ব্যবহৃত হয়।

অনুপম কলার উপকারিতা
অনিদ্রা ভালো করে।মানসিক ট্রেস কমায়
চর্বি হজমে সাহায্য করে

সাগর কলার উপকারিতা
গ্রামে প্রচলিত আছে সাগর কলা সেক্স কমায়, আসলে সাগর কলার মিউসিলেজ বির্য রস বৃদ্ধি করে আর ফ্রুকটোজ শুক্রাণুর খাদ্য যোগায়। ঠান্ডা লাগলে বা কাশি হলে সাগর কলা খাওয়া যাবে না, আসলে ঠান্ডা বেশী বা কাশ হওয়ার সাথে কলার কোন সম্পর্ক নেই বরং কলার পেকটিন ও মিউসিলেজ কাশি নরম করে বের হতে সাহায্য করে।
তবে শ্বাস কষ্ট বা অ্যাজমা আছে এমন রোগির সাগর কলা না খাওয়াই ভালো।

গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় আরও বেশি সতর্ক থাকতে হয়। কারণ তখন নিজের সঙ্গে সঙ্গে আরও একজনের দায়িত্ব নিতে হয়। একটি প্রাণ নিজের ভেতরে বড় করে পৃথিবীতে নিয়ে আসা কোনো সহজ কথা নয়। সেজন্য একজন হবু মাকে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হয়। কোন খাবারটি খেলে উপকার হবে, কোনটি ক্ষতিকর তা জেনে তারপর খেতে হয়। যে কারণে গর্ভাবস্থায় খাবারের তালিকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান অনেকে। এক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারলে সবচেয়ে ভালো। গর্ভাবস্থায় একটি ফল আপনার জন্য উপকারী হতে পারে। সেটি হলো কলা। চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া কেন জরুরি-

১. মর্নিং সিকনেস দূর করে
মাথাব্যথা, অ্যাসিডিটি ইত্যাদি নিয়ে ঘুম থেকে ওঠা নিশ্চয়ই কষ্টকর। তাই সতেজ এবং সুস্থ বোধ করার জন্য অবশ্যই এসব লক্ষণ কমানোর উপায় সন্ধান করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কলা বি ভিটামিনে পূর্ণ যা গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিকভাবে বমি রোধ করতে কাজ করে। গর্ভবস্থায় খাদ্যতালিকায় কলা যোগ করলে তা মর্নিং সিকনেস কমাতে সাহায্য করে।

২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে, যা স্বাস্থ্যকর রক্তচাপের মাত্রা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় প্রায়ই রক্তচাপের ওঠানামা হয় যা নিয়মিত কলা খাওয়ার মাধ্যমে এড়ানো যায়। তাই এদিকে খেয়াল রাখুন। উপকারী ফল কলা এসময় আপনার খাবারের অংশ করে নিন।

৩. হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উন্নত করুন
আয়রনের মাত্রা কম থাকা গর্ভবতী নারীদের জন্য একটি প্রধান সমস্যা। সেখানেই কলা কাজে আসে। কলায় প্রচুর আয়রন থাকায় তা শক্তির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি খাদ্যে প্রাকৃতিক আয়রন সম্পূরক হিসেবে কাজ করে। তাই কলা খাবেন প্রতিদিন।

৪. শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে
ভিটামিন বি ৬, আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিড মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। উপকারী ফল কলায় এর সবগুলোই পাওয়া যায়। তাই এই ফল আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করুন এবং সন্তানের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করুন।

৫. বুকজ্বালা কমায়
গর্ভবস্থায় অনেকের বুকজ্বালার সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদিও এ ধরনের উপসর্গ সম্পূর্ণরূপে এড়ানো যায় না, তবে কলা খেলে তা খাদ্যনালী এবং পাকস্থলীতে অম্লতার মাত্রা কমিয়ে রাখে। এটি আপনাকে কিছুটা স্বস্তি দেবে। তাই গর্ভাবস্থায় এ ধরনের সমস্যা কমাতে চাইলে নিয়মিত কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন।


কলা খাওয়ার নিয়ম

এই ব্লগ পোস্টে আমরা দেখেছি যে কলা খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্যগত উপকারিতা আছে তবে সেই সাথে সাথে অবশিষ্ট কিছু মেয়েরা আছে যা মানুষের জন্য কিছু অপকারিতা তৈরি করতে পারে। তাই সঠিক পরিমাণে কলা খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবশেষে, কলা খাবার করার সঠিক নিয়ম মেনে চলা উচিত, যা নিম্নে তালিকাবদ্ধ করা হলো:

1. মাত্রা সঠিক রকমে খাওয়া: কলা খাওয়ার সময়ে মাত্রা সঠিক করে খাওয়া উচিৎ। অধিক পরিমাণে কলা খাওয়া পেটে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

2. পরিষ্কার কলা বেছে নিন: কলা কেটে খাওয়ার সময়ে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। সঠিক পরিষ্কার পদ্ধতিতে কলা বেছে নিতে হবে।

3. পরিবেশন করুন উপকারিতা বোঝার সাথে: কলা খাওয়ার সময়ে পরিবেশনের সাথে উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে হবে।

4. প্রতিদিন নিয়মিত কলা খাবেন: স্বাস্থ্যগত উপকারিতা পেতে প্রতিদিন নিয়মিত কলা খাবেন।

5. মিশ্রিত খাবারে অংশ হিসেবে কলা সংমিশ্রণ করুন: কলা খাওয়ার সময়ে মিশ্রিত খাবারে অংশ হিসেবে কলা সংমিশ্রণ করা উচিত।

6. স্বাস্থ্যগত অবস্থা বিবেচনা করুন: যদি কেউ কোনো নির্দেশনা অনুসরণ করছেন বা কোনো মেডিকেল কন্সার্ন থাকে, তাহলে কলা খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরারবর্তী আলোচনা করা উচিত।

সারাদিন স্বাস্থ্যগত জীবনে উপকারের জন্য নিয়মিত কলা খাবার ব্যবহার করা উচিত। তবে, সঠিক পরিমাণে এবং সঠিক নিয়মে কলা খাওয়ার সঙ্গে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

কলা খাওয়ার সঠিক সময়

কলা একটি সুস্থ ফল, তাই এটি প্রায় যে কোনো সময়ে খেতে পারেন। তবে, কিছু লোকের মতে কলা সকালে খেতে ভালো, যেটি তাদের দিনটি শুরু করে স্বাস্থ্যগত ভাবে। কিছু অন্য লোক বিকালে কলা খাবার পছন্দ করেন, যা তাদের দিনটি শেষ করে স্বাস্থ্যগত উপকার করে। তবে, যে সময়ে আপনি কলা খেতে পারেন, সেটি কলার স্বাস্থ্যগত সুবিধার উপর কোনো প্রভাব পাওয়ার বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনি নিজের সময় প্রদর্শন করতে পারেন এবং যেটি আপনার ক্ষুধামতো এবং সংগ্রামতো মিলে, সেটি খেতে পারেন।

শেষ কথা ➡️ এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কলা খাওয়ার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করেছি। যা পড়ে  আপনি বুঝতে পারবেন কলা খাবার উপকারিতা কি কি ও এর অপকারিতা কি কি । আপনার মতামত এবং প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত মূল্যবান এবং আমরা সব সময় তাদের স্বাগত জানাই। এই রকম আরো পোস্ট চাইলে কমেন্ট করে আমাদের জানান। আবার আপনার সাথে দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমার জীবন বিডিতে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url