ছেলেমেয়েদের কালো ঠোঁট গোলাপি করার উপায় ২০২৪

আপনাদের জন্য ঠোঁট গোলাপি করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি এই পোস্টে। ঠোঁটকে গোলাপী এবং স্বাস্থ্যকর করে তোলা অনেক ব্যক্তির জন্য এটি একটি ইচ্ছা, কারণ এটি তাদের সামগ্রিক চেহারা বাড়ায় এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। প্রাকৃতিকভাবে গোলাপী ঠোঁট অর্জনের জন্য সবসময় ব্যয়বহুল পণ্য বা চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না; 

ছেলেমেয়েদের কালো ঠোঁট গোলাপি করার উপায় ২০২৪

পরিবর্তে, সহজ জীবনধারা পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক প্রতিকার প্রায়ই কৌশল করতে পারে। প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট গোলাপী করার উপায় সম্পর্কে এখানে একটি বিস্তৃত নির্দেশিকা রয়েছে :

আরো পড়ুন : গরমে ত্বকের যত্ন কিভাবে নেব !

ঠোঁট গোলাপি করার উপায়

➪ হাইড্রেটেড থাকুন :

ডিহাইড্রেশনের ফলে ঠোঁট শুষ্ক এবং কালো হয়ে যেতে পারে। আপনার ঠোঁট হাইড্রেটেড এবং ময়েশ্চারাইজড রাখতে আপনি সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করছেন তা নিশ্চিত করুন। সর্বোত্তম হাইড্রেশন স্তর বজায় রাখতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস জল পান করার লক্ষ্য রাখুন।

➪ নিয়মিত এক্সফোলিয়েট :

আপনার ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করা ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে, ঠোঁটের নীচে নরম, মসৃণ এবং স্বাভাবিকভাবে গোলাপী দেখায়। আপনি চিনি এবং মধু বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করে ঘরে তৈরি ঠোঁট স্ক্রাব তৈরি করতে পারেন। বৃত্তাকার গতিতে আপনার ঠোঁটে স্ক্রাবটি আলতো করে ম্যাসাজ করুন, তারপরে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

➪ ময়েশ্চারাইজ :

এক্সফোলিয়েট করার পরে, আপনার ঠোঁটকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য ময়শ্চারাইজ করা অপরিহার্য। আর্দ্রতা লক করতে এবং শুষ্কতা রোধ করতে একটি পুষ্টিকর লিপ বাম বা প্রাকৃতিক তেল যেমন নারকেল তেল, বাদাম তেল বা শিয়া মাখন ব্যবহার করুন।

➪ সূর্যের এক্সপোজার থেকে রক্ষা করুন :

দীর্ঘক্ষণ সূর্যের এক্সপোজারের ফলে ঠোঁট কালো হয়ে শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। ক্ষতিকারক UV রশ্মি থেকে আপনার ঠোঁটকে রক্ষা করতে এবং পিগমেন্টেশন প্রতিরোধ করতে রোদে বেরোনোর আগে SPF সুরক্ষা সহ একটি লিপ বাম লাগান।

➪ স্বাস্থ্যকর ডায়েট :

ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ একটি সুষম খাদ্য খাওয়া স্বাস্থ্যকর ঠোঁট বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন এ, সি এবং ই সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ফল, শাকসবজি, বাদাম এবং বীজ অন্তর্ভুক্ত করুন। এই পুষ্টিগুলি ত্বককে পুষ্টি জোগায় এবং প্রাকৃতিক গোলাপী ভাব বাড়াতে সাহায্য করে।

➪ আপনার ঠোঁট চাটা এড়িয়ে চলুন :

আপনার ঠোঁট চাটা শুষ্কতা থেকে সাময়িক উপশম দিতে পারে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে অবস্থার অবনতি ঘটাতে পারে। লালায় এনজাইম রয়েছে যা আপনার ঠোঁটের সূক্ষ্ম ত্বককে জ্বালাতন করতে পারে, যা শুষ্কতা এবং কালো হয়ে যায়। পরিবর্তে, যখনই আপনার ঠোঁট শুষ্ক মনে হয় তখনই একটি লিপ বাম ব্যবহার করুন।

➪ ধূমপান ত্যাগ করুন :

ধূমপান শুধুমাত্র আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যকেই প্রভাবিত করে না বরং ঠোঁট কালো ও বিবর্ণ করতেও ভূমিকা রাখে। ধূমপান ত্যাগ করা আপনার ঠোঁটের চেহারাকে উল্লেখযোগ্য ভাবে উন্নত করতে পারে এবং সময়ের সাথে সাথে প্রাকৃতিক গোলাপী ভাবকে উন্নীত করতে পারে।

➪ প্রাকৃতিক প্রতিকার :

বেশ কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকার রয়েছে যা ঠোঁটকে হালকা ও গোলাপী করতে সাহায্য করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, লেবুর রসে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে, যা প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। শুধু আপনার ঠোঁটে তাজা লেবুর রস লাগান এবং ধুয়ে ফেলার আগে প্রায় 15 মিনিটের জন্য রেখে দিন। পরে ময়শ্চারাইজ করতে ভুলবেন না, কারণ লেবুর রস শুকিয়ে যেতে পারে।

➪ গোলাপের পাপড়ি :

গোলাপের পাপড়িতে প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজিং এবং প্রশান্তিদায়ক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা কালো ঠোঁটকে হালকা করতে সাহায্য করতে পারে। কয়েকটি গোলাপের পাপড়ি কয়েক ঘণ্টা দুধে ভিজিয়ে রাখুন, তারপর পেস্ট বানিয়ে নিন। পেস্টটি আপনার ঠোঁটে লাগান এবং জল দিয়ে ধুয়ে ফেলার আগে 15-20 মিনিটের জন্য রেখে দিন।

➪ বিটরুট :

বীটরুট তার প্রাকৃতিক রঙ্গকের জন্য পরিচিত যা ঠোঁটকে গোলাপী আভা দিতে পারে। কেবল একটি বিটরুট টুকরো টুকরো করে কয়েক মিনিটের জন্য আপনার ঠোঁটে আলতোভাবে ঘষুন। ধুয়ে ফেলার আগে প্রায় 10 মিনিটের জন্য রস ছেড়ে দিন। সেরা ফলাফলের জন্য প্রতিদিন এই প্রতিকার পুনরাবৃত্তি করুন।

➪ ডালিমের বীজ :

রস বের করতে এক মুঠো ডালিমের বীজ গুঁড়ো করে ঠোঁটে লাগান। ডালিমের রসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা কালো ঠোঁটকে হালকা করতে এবং একটি প্রাকৃতিক গোলাপী আভা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

➪ অ্যালোভেরা জেল :

অ্যালোভেরা জেল তার নিরাময় এবং ময়শ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। শোবার আগে আপনার ঠোঁটে খাঁটি অ্যালোভেরা জেলের একটি পাতলা স্তর লাগান এবং সারারাত রেখে দিন। নিয়মিত ব্যবহার প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট নরম এবং হালকা করতে সাহায্য করতে পারে।

➪ শসার টুকরো :

শসার শীতল এবং হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা কালো ঠোঁটকে হালকা করতে সাহায্য করতে পারে। প্রতিদিন 10-15 মিনিটের জন্য আপনার ঠোঁটে কয়েকটি শসার টুকরো রাখুন যাতে সেগুলি পুনরুজ্জীবিত হয় এবং হালকা হয়।

➪ ম্যাসাজ :

একটি নরম-ব্রিস্টেড টুথব্রাশ বা একটি পরিষ্কার, স্যাঁতসেঁতে ওয়াশক্লথ দিয়ে আপনার ঠোঁট আলতোভাবে ম্যাসাজ করা রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করতে এবং প্রাকৃতিক গোলাপী ভাব বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। ফলাফল দেখতে প্রতিদিন কয়েক মিনিটের জন্য এটি করুন।

➪ লিপ মাস্ক :

আপনার ঠোঁটকে পুষ্টি ও হালকা করতে সপ্তাহে একবার বা দুবার ঘরে তৈরি ঠোঁটের মাস্ক লাগান। আপনি মধু, দই এবং অ্যালোভেরা জেলের মতো উপাদান ব্যবহার করে একটি সাধারণ মাস্ক তৈরি করতে পারেন। হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলার আগে 15-20 মিনিটের জন্য মাস্কটি রেখে দিন।

এই ভাবে ঠোঁট গোলাপি করার উপায় গুলিকে আপনার দৈনন্দিন রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করে এবং জীবনযাত্রায় ছোট পরিবর্তন করে, আপনি কঠোর রাসায়নিক বা ব্যয়বহুল চিকিত্সার আশ্রয় না নিয়ে প্রাকৃতিকভাবে গোলাপী এবং স্বাস্থ্যকর ঠোঁট অর্জন করতে পারেন। ধৈর্য ধরতে এবং আপনার প্রচেষ্টার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে ভুলবেন না, কারণ প্রাকৃতিক প্রতিকারগুলি ফলাফল দেখাতে সময় নিতে পারে। আত্মবিশ্বাসের সাথে আপনার সুন্দর গোলাপী ঠোঁটকে উজ্জ্বল করুন এবং আপনি যেখানেই যান ইতিবাচকতা ছড়িয়ে দিন!

ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়

অনেকে খুব গাঢ় শেডের লিপস্টিক ব্যবহার করেন। তবে এই গাঢ় শেডের লিপস্টিক ঠোঁট রাঙাতে গিয়ে ঠোঁটের ক্ষতি হয়ে থাকে অনেক সময়। অনেক সময় দেখা যায়, নামি কোম্পানির লিপস্টিক ও লিপগ্লস ব্যবহার করলেও সবার ত্বকে সব কিছু খাপ খায় না। তাই সে দিকেও নজর রাখা জরুরি।
ছেলেমেয়েদের কালো ঠোঁট গোলাপি করার উপায় ২০২৪
ঠোঁটের কালচে দাগের যে শুধু গাঢ় শেডের লিপস্টিক ব্যবহারের কারণে হয়ে থাকে এমন নয়। অনেক সময় আর্দ্রতা হারালেও ঠোঁট বিবর্ণ ও ঠোঁট কালো হয়ে যায়। তাই ত্বকের মতো ঠোঁটেরও সমান যত্ন নেয়া জরুরি।
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ও ধূমপানের অভ্যাসও ঠোঁট কালো হয়ে থাকে। কারণ সিগারেটের নিকোটিন ঠোঁটে প্রবেশ করে বিবর্ণ করে তোলে ঠোঁটকে। আর অতিরিক্ত চা-কফি পানের অভ্যাস থাকলে তা থেকেও ঠোঁটে হতে পারে কালচে দাগ।

আসুন জেনে নিই ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়-

  1. ঠোঁটের কালচে দাগ দূর করতে চিনিকে স্ক্রাব হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।
  2. ত্বকের হারিয়ে যাওয়া ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে ব্যবহার করতে পারেন মধু। আর তাই ঠোঁটের ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন মধু। কেবল কালচে ভাব দূর করতেই নয়, ঠোঁটের কোমলতা বজায় রাখতেও মধু খুব ভালো কাজ করে। ঘুমানোর আগে সামান্য মধু ঠোঁটে লাগিয়ে রেখে দিন সারা রাত। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ঠোঁটের রঙে পার্থক্য চোখে পড়বে।
  3. প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে চিনি খুব ভালো কাজ করে। চিনি দিয়ে স্ক্রাব করলে ঠোঁটের কালচে দাগ দূর হওয়ার পাশাপাশি মরা চামড়াও দূর হয়। ২ চামচ চিনি ও ৩ চামচ মাখন একসঙ্গে মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। সপ্তাহে বার দুয়েক এই পেস্ট দিয়ে ঠোঁট স্ক্রাব করুন।
  4. লেবুর রস খুব ভালো ব্লিচিং। প্রতিদিন ঘুমোতে যাওয়ার আগে তাজা লেবুর রস দিয়ে ঠোঁটে ভালো করে ম্যাসাজ করলে কালচে ভাব দূর হবে।
  5. প্রতিদিন একবার করে ঠোঁটে বরফ ঘষুণ। এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে।
  6. দুধের সর ব্যবহার করতে পারেন। দুধের সরে মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান প্রতিদিন।
  7. এসপিএফ যুক্ত লিপ বাম ব্যবহার। যা ঠোঁটের কালো দাগ ও পিগ্মেন্টেইশন কমায়।
  8. পর্যাপ্ত পানি পানের মাধ্যমে আর্দ্র থাকা। লিপ বাম বা ক্রিম ব্যবহারের মাধ্যমে ঠোঁট আর্দ্র রাখা।
  9. আলতোভাবে এক্সফলিয়েট মৃত কোষ দূর করে যা ধীরে ধীরে দাগ কমাতে সহায়তা করে।
  10. নিয়াসিনামাইড, ভিটামিন সি, কজিক অ্যাসিড বা লিকোরিস নির্যাস ত্বকের কালচে দাগ দূর করতে সহায়তা করে।
  11. ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সুষম খাবার গ্রহণ করা, ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করে।
  12. ধূমপান ঠোঁট কালচে করে ফেলে। তাই ধূমপান বাদ দেওয়া ভবিষ্যত আরও কাল দাগ দূর করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
  13. ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণে দাগ না কমলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

ছেলে ও মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম

আমরা মেয়েরা আমাদের ঠোঁটকে কালো দাগ থেকে মুক্ত করতে ক্রিম ব্যবহার করতে পারি।বাজারে এসব ক্রিম পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটির বর্ণনা দিচ্ছি। 

1Scru Lip Cream
মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম হিসেবে খুবই কার্যকরী একটি ক্রিম হল Scru Lip Cream.

ক্রিমটির উপকারিতা:

১)ঠোঁট গোলাপী/pink হবে

২) সিগারেটের কালো দাগ দূর হবে

৩) ঠোঁট কোমল ও নরম হবে

৪) স্বাভাবিক ব্যবহারে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।তবে অতিরিক্ত ব্যবহার ঠোঁটের জন্য খারাপ।

ব্যবহারবিধি :
ক্রিমটা ঠোঁটে লাগিয়ে ভালোভাবে ১ মিনিট ধরে scrub বা ঘষতে হয়, এতে ঠোঁটের ময়লা, ঠোঁটের মরা চামড়া ও ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয়, এছাড়া ঠোঁট খুব মসৃণ ও সফট হয়ে যায়। এটা ২/৩ দিন পরপর রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে এপ্লাই করবেন, সকালে ওঠে ঠোঁটটা ধুয়ে ফেলবেন। ক্রিমটির দাম ১৪০/- ২০০/- মধ্যে। বড় মার্কেটের কসমেটিকসের দোকানে পেতে পারেন এটা।

2. Betnovate-CL
এ ক্রিমটি ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য একটি কার্যকরি উপায়। এটির ওজন ১০ গ্রাম,দাম ৩২/-। নিকটস্থ ফার্মেসিতে পাওয়া যাবে এটা।

ব্যবহারবিধি :
ক্রিমটা ঠোঁটে লাগালে ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয়, এছাড়া ঠোঁটে গোলাপি আভা আসে। এটা প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে এপ্লাই করবেন। খেয়াল রাখবেন যেন মুখের ভেতর না যায়।সকালে ওঠে ঠোঁটটা ধুয়ে ফেলুন। আর ১/২ মাসের বেশি সময় ব্যবহার করবেন না।

3. Bioaqua Pink Cherry Cream
Bioaqua pink cherry ক্রিমটি ঠোঁটের কালো দাগ দূর করে ঠোঁটে পিংক কালার এনে দেয়। তবে ক্রিমটি থাইল্যান্ডের পন্য হওয়ায় বাজারে নকল বের হয়েছে।তাই QR code ও Hologram দেখে আসল পন্যটি চিনে কিনুন। এটি বড় মার্কেটে ও অনলাইনে পাবেন।দাম ৩০০/- এর মত।

4. Betameson Ointment
Square কোম্পানির এই ক্রিমটি আপনি স্থানীয় ফার্মেসিতে পেয়ে যাবেন। দাম ৪৫ টাকা। অথচ এ ক্রিমটার কাজ অনেক ভালো। বিশেষ করে ঠোঁটের কালো ভাব দূর করে গোলাপি ভাব আনাতে এটির জুড়ি নেই। সামান্য পরিমাণ ক্রিম আঙুলের মাথায় লাগিয়ে তা ঠোঁটে লাগান।

5. Baby Lips
Baby Lips একটি ভারতীয় পন্য। তবে বাংলাদেশেও এ জেলটি পাওয়া যায়। আর আসল নকল চিনে কিনতে হবে। কারণ নকল পন্যে ফল পাওয়া যাবে না।তাছাড়া নকল জেল টির দাম আসল জেলের চেয়ে কম হয়।

উপকারিতা:
আমরা সাধারণ যে পেট্রোলিয়াম জেল ঠোঁটে লাগাই তেমনি এই জেলটি।আপনার ঠোঁট কালো হলে এ জেলটি দিনে ২/৩ বার লাগান।দেখবেন ঠোঁটের দাগ অনেকটাই ঢেকে যাবে এর গোলাপি আভায়।

6. Toothpaste 
অনেক ক্রিমের নাম বললাম ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে। কিন্তু আরেকটি সহজলভ্য ক্রিম হলো ঘরে থাকা টুথপেষ্ট। আমরা যখন দাঁত মাজি তখন টুথপেষ্ট মাখানো ব্রাশ দিয়ে আমাদের ঠোঁটটি একটু ঘষে নেব।তাছাড়া ঠোঁটেও টুথপেষ্ট মেখে তারপর ধুয়ে ফেললে কালচে রং দূর হবে। এতে করে ক্রিম কেনার টাকা বেঁচে যাবে। প্রতিদিন বা দু তিনদিন পরপর এটি ব্যবহার করুন।

ক্রিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছুটা সতর্কতা 

বাজারে প্রাপ্ত মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম গুলো বিভিন্ন কেমিক্যাল উপাদানে তৈরি। তাই এসব ব্যবহারে বা অতিরিক্ত ব্যবহারে আপনার ঠোঁট স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য হারাতে পারে। ঠোঁটের চামড়া আরও পাতলা হয়ে যেতে পারে।

তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এসব ক্রিম ব্যবহার করা উচিত। অবশ্যই পন্যের গায়ের নির্দেশিকা অনুসরণ করবেন। যতটুকু দিতে বলা হয় ততটুকুই লাগাবেন।আর ধূমপান ও নেশা ত্যাগ করতে হবে।

মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম ব্যবহার করা ছাড়াও আমরা কিন্তু ঘরোয়াভাবে কিছু উপকরণ দিয়ে এ কাজটি করতে পারি। এর সুবিধা হলো খরচ কম ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম/নেই।

অনেকে দ্রুত সমাধান হিসেবে মেকাপ করে বা ঠোঁটে লিপস্টিক দিয়ে কাজ চালিয়ে নেন।কিন্তু এটা তেমন স্থায়ী সুফল দিবে না। আর শারীরিক সমস্যার জন্য যদি এটা হয়ে থাকে তাহলে দ্রুত চিকিৎসা নিন। কারণ ভেতর থেকে সুস্থ না হলে বাহিরের কোন উপাদান আপনার ঠোঁটের দাগ দূর করতে পারবে না।

শেষ কথা ➡️ এই পোস্টে আমরা ছেলে ও মেয়েদের কালো ঠোঁট গোলাপি করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি। ঠোঁট গোলাপি করার উপায়, গুলি আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং তা অনুসরণ করুন। তাহলে দেখবেন আপনার ঠোঁটে ৩০ দিন এর মধ্যে পরিবর্তন চলে আসছে। আপনার মতামত এবং প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত মূল্যবান এবং আমরা সব সময় তাদের স্বাগত জানাই। এই রকম আরো পোস্ট চাইলে কমেন্ট করে আমাদের জানান। আবার আপনার সাথে দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমার জীবন বিডিতে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url